তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে অনেক নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে : নীড়

বাসস
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১০:২৪ আপডেট: : ২৬ মে ২০২৫, ১৭:২৩

ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫ (বাসস) : যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী বছরের শুরুতে আয়োজন করা হয় তারুণ্যের উৎসব। তরুণদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেয় সরকার। তারুণ্যের উৎসব দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের দাবার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। 

তিনি জানান, তারুণ্যের উৎসব উপভোগ করেছে সারাদেশের তরুণ খেলোয়াড়রা। এই উৎসব থেকে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ৩০ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের তারুণ্যের উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন ক্রীড়া টুর্নামেন্টে অংশ নেয় তরুণরা।

সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নীড়। বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নীড় বলেন, ‘তারুণ্যের উৎসবে অনেকগুলো ইভেন্ট হয়েছে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসতে পারবে। এই তারুণ্যের উৎসব সারাদেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছে। সবাই এটি উপভোগ করেছে। এই আয়োজন আমারও খুব ভালো লেগেছে।’

প্রতি বছরই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই ধরনের উৎসবের আয়োজন করা উচিত বলে মনে করেন ১৪ বছর বয়সী নীড়। বিশেষভাবে স্কুল পর্যায়ে এটি নিয়মিত হলে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে জানান তিনি। 

দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া নীড় বলেন, ‘অবশ্যই প্রতি বছর এমন আয়োজন করা উচিত। স্কুলে এসব টুর্নামেন্ট নিয়মিত করা উচিত। কারণ দাবাকে যদি উদাহরণ হিসেবে ধরি, তাহলে বাংলাদেশে তো দাবায় ঐরকম খেলোয়াড় নেই বা উঠে আসছে না। কিন্তু এমন উৎসব যদি নিয়মিত হয় তাহলে স্কুল থেকেই অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগ সব খেলাধুলার জন্যই ভালো হবে, বিশেষভাবে দাবার জন্য। যদি সম্ভব হয়, ছয় মাস পর পর করলে আরও ভালো হবে।’

গত বছরের ৪ অক্টোবর হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে দেশের পঞ্চম দাবাড়ু হিসেবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের স্বীকৃতি পান নীড়। বাংলাদেশের দাবার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার হিসেবে নজির গড়েন তিনি। ১৯৮১ সালে ১৫ বছর ৫ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছিলেন নিয়াজ মোর্শেদ। ১৪ বছর ৪ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়ে নিয়াজের রেকর্ড ভাঙ্গেন নীড়। 

এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়াই নীড়ের মূল লক্ষ্য। এজন্য আর্থিক সহায়তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি, ‘এখন আমার প্রধান লক্ষ্য গ্র্যান্ড মাস্টার (জিএম) হওয়া।

এজন্য আর্থিক সহায়তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাকে বিভিন্ন দেশে গিয়ে খেলতে হবে। এখন তো দেশে খেললে হচ্ছে না। কিন্তু বাইরে গিয়ে খেলা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। সবসময় তো যাওয়া সম্ভব না। স্থায়ীভাবে স্পন্সরশীপ পেলে বাইরে খেলতে যাবার লক্ষ্য পূরণ করা সহজ হবে।’

মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই দাবা খেলা শুরু করেন নীড়। ল্যাপটপে বাবাকে খেলতে দেখেই দাবার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। নীড় বলেন, ‘প্রথম দাবা খেলা দেখেছি ল্যাপটপে। বাবা ল্যাপটপে দাবা খেলতেন। তখন বাবাই আমাকে প্রথম দাবা খেলা শিখিয়েছেন। সেখান থেকে দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।’

গত মাসে ক্রীড়া সংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) বর্ষসেরা দাবাড়ু হন নীড়। বর্ষসেরা দাবাড়ু হিসেবে ট্রফি পেয়ে খুশি তিনি, ‘বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা দাবাড়ু হতে পেরে আমি আনন্দিত। অ্যাওয়ার্ডে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ের সাথে দেখা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি আমি উপভোগ করেছি।’

নরওয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনকে আইডল হিসেবে মানেন নীড়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পাঁচ বছরের চুক্তিতে স্বপ্নের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কুনহা
সার্ভে জাহাজ এইচএমএস এন্টারপ্রাইজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ
মিরাজ অধিনায়ক হওয়ায় খুলনায় আনন্দ মিছিল
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় নিতে চান মিরাজ
আশা করি শিগগিরই ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে ইসি : খলিলুর রহমান
খাগড়াছড়িতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু
ইরানের উৎক্ষেপিত ‘বেশিরভাগ’ ড্রোন অকার্যকর করা হয়েছে: ইসরাইল 
ইসরাইলি হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের এরোস্পেস কমান্ডার নিহত: ইরান
১০