এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে ৭ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বাসস
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৩
প্রতীকী ছবি

ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এদিকে পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিচে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. হাঁচি/কাশি সময়/বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার বুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

৭. আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৩ যাত্রী নিহত
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণরা নতুন সমাজ গড়বে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে উত্তরায় জামায়াতের মিছিল
বিএনপি ৩১ দফার ভিত্তিতে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে: এস এম জাহাঙ্গীর
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আল্লাহ আমাকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন: এটিএম আজহারুল ইসলাম
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের আলোচনার ইঙ্গিত
অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য চিরতরে বিদায় করতে চাই : নাহিদ ইসলাম
রোমে জ্বালানি স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ৪৫
নরসিংদীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের সম্মানে আলোচনা সভা 
১০