বাসস
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৫

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য অপরিহার্য

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য অপরিহার্য।ছবি ; বাসস

ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে বক্তারা বলেছেন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অভাবে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরণের অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

তারা বলেন, খাবারে লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবার ও পরিমিত পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করা হলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে আজ রোববার গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত  ‘উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি মোকাবেলায় নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

আয়োজনটির সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ’।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বিশ্বে প্রতিবছর এক কোটিরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের কারণে মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এ সকল মৃত্যুর অধিকাংশই স্বাস্থ্যকর খাদ্য বিষয়ক নীতির মতো বিভিন্ন ধরনের নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

'বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভে-২০২২' এর তথ্য অনুযায়ী ৩৭ শতাংশ মানুষ খাবারের সঙ্গে লবণ গ্রহণ করে। ১৩ শতাংশ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত লবণযুক্ত ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকে। এতে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে।

ওয়েবিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) ড. মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা ট্রান্সফ্যাট রেগুলেশন ও লেবেলিং বিধিমালাসহ অন্যান্য আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সবজি ও বাদামসহ অন্যান্য অপ্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি করে খেতে হবে। একই সাথে লবণ, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট পরিহার করতে হবে।


বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, অতিরিক্ত লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও রেড মিট পরিহার করার পাশাপাশি জীবনাচরণে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইন বা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।