বাসস
  ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ যুদ্ধবিরতি ‘পৌছানোর কাছাকাছি’: হামাস নেতা

দোহা, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ মঙ্গলবার বলেছেন, তার সংগঠন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরায়েলের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
পোস্টে হানিয়াহ বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি।’
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলার সময় ৭ অক্টোবরে আটক প্রায় ২৪০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারিরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করছে।
হামাসকে ধ্বংস এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান শুরু করে।
গাজার হামাস সরকারের মতে, যুদ্ধে ১৩ হাজার ৩শ’ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
কাতারের মধ্যস্থতায় জোর আলোচনা চলছে। সেখানে হামাসের একটি রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে এবং ইসমাইল হানিয়াহ সেখানে অবস্থান করছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী রোববার বলেছেন, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করার একটি চুক্তি এখন ‘সাধারণ কিছু’ ব্যবহারিক বিষয়ের উপর নির্ভর করছে।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আলোচনা এখন একটি চুক্তির কাছাকাছি পেীঁছেছে।
জিম্মি মুক্তির চুক্তি কাছাকাছি কি-না জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাই বিশ্বাস করি।’
আলোচনার সাথে সম্পর্কিত দু’টি সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, একটি অস্থায়ী চুক্তির মধ্যে রয়েছে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি, যার মধ্যে রয়েছে স্থলভাগে যুদ্ধবিরতি এবং দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার সীমাবদ্ধতা।
বিনিময়ে, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের কাছে বন্দী ৫০ থেকে ১শ’ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
তাদের মধ্যে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং অন্যান্য জাতীয়তার বন্দীরা থাকবে। তবে কোন সামরিক কর্মী থাকবে না।
প্রস্তাবিত চুক্তির অধীনে প্রায় ৩শ’ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু রয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, আলোচনা ‘শেষ নাটকীয় পর্যায়ে’ ছিল, তবে আরও বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে বলেছে,এটি একটি সফল ফলাফলকে বিপন্ন করতে পারে।
পৃথকভাবে, রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি সোমবার বলেছে, রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট ‘ইসরায়েল ও গাজায় সশস্ত্র সংঘাত সম্পর্কিত মানবিক সমস্যাগুলোকে এগিয়ে নিতে’ হামাসের হানিয়াহর সাথে দেখা করতে কাতারে গিয়েছিলেন।
এক বিবৃতিতে জেনেভা-ভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, যে এটি ‘সংঘাতে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরী সুরক্ষার জন্য এবং গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির প্রশমনের জন্য আবেদন করা অব্যাহত রেখেছে’।