বাসস
  ৩০ মে ২০২৪, ১৪:৫৬

উত্তর কোরিয়ার একাধিক স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

সিউল, ৩০ মে, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক):পিয়ংইয়ং দক্ষিণ কোরিয়াকে শাস্তি দেওয়ার লক্ষে সীমান্তের ওপারে কয়েকশ’বেলুন পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পর আবার একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার ভোরে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সালভো নিক্ষেপ করেছে। 
ওয়াশিংটন, সিউল ও  টোকিও এই উৎক্ষেপণের ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
সোমবার পরমাণু-সজ্জিত উত্তরের একটি দ্বিতীয় গোয়েন্দা উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এই উৎক্ষেপণ চালানো হয়। সিউল, বেইজিং ও টোকিও একটি ব্যতিক্রমী শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপর পিয়ংইয়ংকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণকে ত্রিমুখী শীর্ষ সম্মেলনে সম্মত হওয়া ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’ প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে উত্তরের প্রতিবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও এই উৎক্ষেপণে উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেছে। পিয়ংইয়ং-এর ব্যালিস্টিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে শুক্রবার ব্যর্থ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়ে সেখানে আলোচনার জন্য একটি সভা করবে।
বৃহস্পতিবারের সকালে সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বে পানিতে নিক্ষেপ করে ১০টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দুরে আঘাত হানতে সক্ষম। সিউলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ উৎক্ষেপণটিকে ‘উস্কানি’ বলে অভিহিত করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এর সুনির্দিষ্ট বিশ্লষণ করেছে।
জাপানও উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের বিশেষ ইকোনমিক জোনের বাইরে পড়েছিল বলে মনে হচ্ছে।’ উৎক্ষেপণের কঠোর নিন্দা জানিয়ে কিশিদা বলেন, তারা ইতোমধ্যেই একটি প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কিশিদা সোমবার সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে দেখা করতে ২০১৯ সাল থেকে দেশগুলোর প্রথম ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। সেখানে তারা  ‘কোরিয়ান উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ’-এর প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করা একটি ‘মারাত্বক উস্কানি’ যা দেশকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা লাভ নিশ্চিত করার জন্য ২০২৩ সালে পরিবর্তিত সংবিধান লঙ্ঘন করবে।