বাসস
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫২
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৩০

ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রথম বিদেশ সফরে ইরাক যাচ্ছেন

তেহরান, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বুধবার প্রতিবেশী ইরাক সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। তিনি ইতোমধ্যেই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চাচ্ছেন।
পেজেশকিয়ান ইরানের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কমাতে এবং এর অর্থনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হ্রাস করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কারণে মঙ্গলবার পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তার এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির কারণে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ অঞ্চলের চারপাশে আকৃষ্ট হওয়া এবং ওয়াশিংটনের সাথে বাগদাদের সম্পর্ককে জটিল করে তোলার প্রেক্ষাপটেও পেজেশকিয়ানের ইরাক সফর অনুষ্ঠিক হতে যাচ্ছে।
ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জিহাদি বিরোধী জোটের ঘাঁটিতে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত কেতায়েব হিজবুল্লাহ (হিজবুল্লাহ ব্রিগেড)-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে ‘আক্রমণ’-এর লক্ষ্য ‘ইরানি প্রেসিডেন্টের বাগদাদ সফর বিঘিœত করা।’
২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের সুন্নি-নিয়ন্ত্রিত শাসনের পতনের পর থেকে ইরান ও ইরাক উভয়ে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই সপ্তাহে বলেছেন, ‘এ সফর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঊন্নয়ন এবং গভীর করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।’
পেজেশকিয়ান সম্পর্ক জোরদার ও নিষেধাজ্ঞার চাপের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন। তিনি গত মাসে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক নিষেধাজ্ঞার চাপ উল্লেখযোগ্য কারে নিস্ক্রিয় করতে পারে।’
ইরান বছরের পর বছর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, বিশেষ করে দেশটির চিরশত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও বিশে^র প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পর দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে।