কম্বোডিয়ায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত

বাসস
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:০২

ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়েছে। প্রাণঘাতী অস্ত্রটি ওই শিশুদের বাড়ির কাছে বিষ্ফোরিত হয়। রোববার দেশটির এক কর্মকর্তা এ খবর জানান। 

নমপেন থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

শনিবার উত্তর-পশ্চিম সিয়েম রিপ প্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে গ্রামটি ছিল কম্বোডিয়ার সরকারি সেনা ও খেমাররুজ যোদ্ধাদের যুদ্ধক্ষেত্র।

দুই বছর বয়সী ওই শিশুদের একজন ছেলে ও একজন মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।

তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কম্বোডিয়ান মাইন অ্যাকশন সেন্টারের (সিএমএসি) মহাপরিচালক হেং রতানা এএফপি’কে বলেছেন, দুই শিশু মাটিতে খেলছিল। মাটি খোঁড়ার সময় পুঁতে রাখা গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়।

তিনি বলেন, এক শিশু ঘটনাস্থলে এবং অপরজন হাসপাতালে মারা যায়।

হেং রতানা আরো বলেন, ‘যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে এবং ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শান্তি বিরাজ করছে, কিন্তু স্থলমাইন ও যুদ্ধের অবশিষ্টাংশের কারণে এখনো কম্বোডিয়ার মানুষের রক্ত ঝরছে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে ১৯৬০-এর দশকে শুরু হওয়া কয়েক দশকের যুদ্ধের পরিত্যক্ত গোলাবারুদ ও অস্ত্র এখনো মাটির নিচে রয়ে গেছে। দেশটিতে এখনো খনি ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র থেকে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ ধরণের বিষ্ফোরণে নিহত এবং এর দ্বিগুণ আহত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার ১৬ নম্বরে ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন তারেক রহমান’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৫ দফার ভিত্তিতে দিতে হবে : জামায়াত নেতৃবৃন্দ
গুম-খুনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করতে হবে : আখতার হোসেন
সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব
মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন : রাবিতে সেমিনারে বক্তারা
দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম
বিএনপি হচ্ছে সংস্কারের জন্মদাতা দল : মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশকে ১৯১ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
তখন তো জানতাম না আমাকের বর্ডার ক্রস করানো হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ 
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার : নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা
১০