ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। পেন্টাগনের শীর্ষ নেতৃত্বে সাম্প্রতিক রদবদলের মধ্যে এটিও একটি।
ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানাশ, ‘জো ক্যাসপার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ প্রকল্প দেখভালের জন্য বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা (এসজিই) হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নে অব্যাহত নেতৃত্ব ও নিষ্ঠার জন্য মন্ত্রী হেগসেথ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ক্যাসপারের পদত্যাগ সাম্প্রতিক সময়ে পেন্টাগনের শীর্ষ পদ থেকে একাধিক বহিষ্কারের সর্বশেষ উদাহরণ। গত সপ্তাহে তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে
তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে তদন্ত চলছিল, এবং জানা যায় যে তারা ক্যাসপারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন।
সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা ড্যারিন সেলনিক, ড্যান ক্যাল্ডওয়েল ও কলিন ক্যারল রোববার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেন, পেন্টাগন কর্তৃপক্ষ তাদের ‘মিথ্যা অভিযোগে চরিত্রহননের’ চেষ্টা করেছে।
তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের এখনও জানানো হয়নি আসলে কী বিষয়ে আমাদের তদন্ত করা হয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে কি না, কিংবা আদৌ তথ্য ফাঁসের কোনো তদন্ত শুরু হয়েছিল কি না।’
পিট হেগসেথের সাবেক পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি জন আলিয়ট রোববার এক তীব্র সমালোচনামূলক মতামত প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘পেন্টাগনে এক মাস ধরে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনায় সুনাম অর্জন করেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে হেগসেথের অবস্থান আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা বলা কঠিন।’
এ রদবদলের সময় হেগসেথ নতুন এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। তিনি মেসেজিং অ্যাপ সিগনাল ব্যবহার করে ইয়েমেনে মার্কিন হামলা নিয়ে তার স্ত্রী ও অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাম্প্রতিক এ ঘটনা সত্ত্বেও হেগসেথের পাশে রয়েছে হোয়াইট হাউস। এর কিছু সপ্তাহ আগেই জানা যায়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনার তথ্য তিনি আরেকটি সিগনাল চ্যাটে শেয়ার করেছিলেন, যেখানে ভুলক্রমে এক সাংবাদিককেও যুক্ত করা হয়েছিল।