ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : চিলির রাষ্ট্রায়ত্ত তামা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোডেলকো সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা ব্রিটিশ-অস্ট্রেলীয় খনি সংস্থা রিও টিন্টোর সঙ্গে একটি যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে যাচ্ছেন। চিলির উত্তরাঞ্চলের একটি লবণাক্ত অঞ্চলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম লিথিয়াম মজুদের উপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
সান্তিয়াগো থেকে এএফপি জানিয়েছে, লিথিয়াম, যা বৈদ্যুতিক গাড়ি ও স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়, তা পাওয়ার জন্য বৈশ্বিক খনি কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া ও চিলি মিলে গঠিত ‘লিথিয়াম ত্রিভুজ’ বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ লিথিয়াম মজুদের কেন্দ্র বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিসিএস) ।
মারিকুঙ্গা প্রকল্পে ৯০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ: বলভিয়ার সীমান্তে চিলির উত্তরের মারিকুঙ্গা লবণাক্ত অঞ্চল লিথিয়ামের ঘনত্বের দিক থেকে আতাকামার পরেই দ্বিতীয়। বিশ্বের বৃহৎ তামা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চিলির কোডেলকো জানিয়েছে, রিও টিন্টো ‘সালার মারিকুঙ্গা স্পা’ নামে যৌথ উদ্যোগে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ৪৯.৯৯ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবে। বাকী ৫০.০১ শতাংশ থাকবে কোডেলকোর হাতে। যা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী অংশীদার বানাবে।
চিলির রাষ্ট্রীয় কৌশল : বর্তমানে চিলি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম লিথিয়াম ‘সাদা সোনা’ উৎপাদক (অস্ট্রেলিয়ার পরে)। তবে এখন পর্যন্ত চিলির সব লিথিয়াম উত্তোলন হয় আতাকামা অঞ্চল থেকে। ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক ঘোষণা দেন যে, অন্যান্য সম্ভাব্য অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বৈচিত্র্য: কোডেলকোর চেয়ারম্যান ম্যাক্সিমো পাচেকো জানিয়েছেন, এটি কোম্পানির বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। নতুন এই প্রকল্প ২০২৬ সালের মার্চ মাসের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
রিও টিন্টোর বৈশ্বিক পরিসর: ৩৫টি দেশে কার্যক্রম চালানো রিও টিন্টো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খনি সংস্থা (অস্ট্রেলিয়ার বিএইচপি-এর পরে)। ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনা ও সার্বিয়ার লিথিয়াম প্রকল্পে অংশীদারিত্ব রয়েছে তাদের।