ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরাকের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের সঙ্গে তেহরানে এক বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গতকাল সোমবার তেহরান ডায়ালগ ফোরামের দ্বিতীয় দিনে পেজেশকিয়ান অন্যান্য ইসলামি ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ইরানের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিশেষ করে চিকিৎসা ও কৃষিতে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তি বিনিময়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ইরাকি মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করেছেন।
তেহরান থেকে সিনহুয়া এই খবর জানায়।
মার্কিন-ইরান পরোক্ষ আলোচনা প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, যদি আমেরিকা আন্তরিকভাবে আলোচনা করে, তাহলে ইরানও পারমাণবিক উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনা করবে। তিনি আরো বলেছেন, ইরানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরাকের ওপর ইরানের সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার জন্য ধারাবাহিক চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
চলতি বছরের ৮ মার্চ, মার্কিন প্রশাসন ইরাক সরকারকে ইরান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেওয়া একটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
কয়েক সপ্তাহ পর, ইরাকের অল্প সময়ের জন্য একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, যাতে তারা তাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণে ইরান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারে।
ইরান ইরাকের প্রাথমিক প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী দেশ, যা ইরাকের দৈনিক চাহিদার ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রায় ৪৫ শতাংশ জোগান দেয়।
গত মাসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির উপদেষ্টা হাজেম আল-খালিদির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তেহরান সফর করেন। সেখানে উভয় দেশের সীমান্ত বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার মধ্যে শালামচেুবসরা রেলপথ প্রকল্প এবং সীমান্তবর্তী যৌথ মুক্ত বাণিজ্য ও শিল্প অঞ্চলের চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।
প্রতিবেশী ইরাক ও ইরান বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।