
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকদিনের ভয়াবহ বন্যায় ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
আজ শুক্রবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
মৌসুমি ভারী বর্ষণ ও ক্রান্তীয় ঝড়ের প্রভাবে তিন দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টির পানি জমে গেছে, অনেক মানুষ ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন এবং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মেদান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় পৌঁছাতে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।
এ ছাড়া, দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে লাশ রাখার জায়গা ফুরিয়ে যাওয়ায়, বাড়তি লাশ রাখতে রেফ্রিজারেটেড ট্রাক আনা হয়।
পশ্চিম সুমাত্রায় ৫৩ বছর বয়সী মিসনিয়াতি তার বাড়িতে থাকা স্বামীর কাছে পৌঁছাতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সহ্য করেছেন।
ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফেরার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, দেখলাম আমাদের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটি পানিতে ডুবে গেছে। আমি দৌড় দিয়ে বাড়িতে স্বামীর কাছে ফিরতে চাচ্ছিলাম। ততক্ষণে এই পানি কোমর পর্যন্ত উঠে গেছে। তীব্র স্রোতের তোড় আমাকে প্রায় ফেলে দিচ্ছিল, এমন অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে দেখি যে পানি তখন বুক পর্যন্ত উঠে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত রাতে একদম ঘুমাইনি, শুধু পানির গতিবিধি দেখেছি।
সুমাত্রার কর্মকর্তারা জানান, এই সপ্তাহে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১১১ জন মারা গেছে এবং প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
উত্তর সুমাত্রা পুলিশের মুখপাত্র ফেরি ওয়ালিনতুকান বলেন, কর্তৃপক্ষ বর্তমানে উদ্ধার ও সহায়তা প্রদানে মনোনিবেশ করেছে। কিছু এলাকায় এখনো পৌঁছানো যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আশা করি আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাহলে আমরা হেলিকপ্টার নিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে পারব।