ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস) : ভেনেজুয়েলায় এক বছর ধরে আটক থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য মঙ্গলবার মুক্তি পেয়ে নিজ দেশে ফিরেছেন। এ তথ্য বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স' এ লেখেন “জো সেন্ট ক্লেয়ার আমেরিকায় ফিরেছেন”। সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত ভেটেরানের সঙ্গে নিজের তোলা ছবিও জুড়ে দেন।
তিনি আরো জানান, “আমি তৃতীয় একটি দেশে ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেছি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে।” প্রেসিডেস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় আমেরিকানদের অগ্রাধিকার দেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন গ্রেনেল। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সেন্ট ক্লেয়ারকে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ তার পরিবাবের। তার বাবা-মা স্কট এবং প্যাটি সেন্ট ক্লেয়ার এক বিবৃতিতে জানান, “ছেলের মুক্তির খবরটি হঠাৎ করে পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারিনি। তবে আমরা আনন্দে আপ্লুত।”
তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং গ্রেনেল উভয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে, যারা এখনো বন্দি রয়েছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় কাজ করা অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলোকেও ধন্যবাদ জানান।
তবে জো সেন্ট ক্লেয়ার কী অবস্থায় আটক ছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ ঘটনার চার মাস আগেও ছয় মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয় ভেনেজুয়েলা। এতে করে দু’দেশের মধ্যকার উত্তপ্ত কূটনৈতিক সম্পর্কে এক ধরনের অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সেসময় ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল নিজেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে “নতুন সূচনা” করার আহ্বান জানান।
মাদুরোর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জালিয়াতির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন।
অন্যদিকে, সপ্তহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক ভেনেজুয়েলিয়ান দম্পতিকে দেশে ফেরত পাঠানো হলেও তাদের দুই বছর বয়সী মেয়েকে রেখে দেওয়া হয়। সম্প্রতি তাতেও কারাকাসে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেছে ভেনেজুয়েলার সরকার। যা বিরল ঘটনা।
এছাড়া, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভেনেজুয়েলিয়ান নাগরিককে সম্ভাব্য দেশে ফেরত পাঠানো বা ডিপোর্টেশন থেকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া ‘অস্থায়ী নিরাপত্তা মর্যাদা’ বাতিলের অনুমতি দেন। যদিও বিষয়টি এখনো নিম্ন আদালতে আপিলাধীন রয়েছে।