সিঙ্গাপুর, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস): সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে প্রত্যাশার চেয়ে একটু বেশি হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক (ট্যাক্স) বাড়ার আগেই বেশিবেশি পণ্য রপ্তানি করায় এই উন্নতি হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ৯০ দিনের বিরতির পর আবারও পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা থেকে গেছে যা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে দেশটির সরকার।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। যা সরকারের প্রাথমিক ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে।
তবে এটি ছিল গত ডিসেম্বর প্রান্তিকের ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে দুর্বল। প্রান্তিক থেকে প্রান্তিক ভিত্তিতে অর্থনীতি ০.৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যা ভবিষ্যতের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্ক বৃদ্ধির আগেই প্রস্তুতির কারণে উৎপাদন ও পাইকারি বাণিজ্য খাত থেকে এই প্রবৃদ্ধি এসেছে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিঙ্গাপুরের উপর প্রাথমিকভাবে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তারপরেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল সিঙ্গাপুর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত এপ্রিল মাসে চীন ছাড়া সকল দেশের ওপর থেকে ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য অধিকতর শুল্ক আরোপ স্থগিত করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ায় আশার সঞ্চার হয়েছে যে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইতিবাচক উন্নয়ন সত্ত্বেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও বড় অনিশ্চয়তায় আচ্ছন্ন ও ঝুঁকিগুলো নিম্নমুখী। এই অনিশ্চয়তায় ব্যবসা ও পরিবারিক ব্যয়ে দেশে শুনে চলার মনোভাব নিতে প্ররোচিত করবে। এর ফলে ব্যয় কমে আসবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
তাই, এবছরের জন্য অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের এক থেকে তিন শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য থেকে দুই শতাংশ করা হয়েছে।