ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ভূমিকম্পে ১৪০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

বাসস
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১২:৪২

ঢাকা, ২৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থা জানিয়েছে, এতে ১৪০ টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস অনুসারে, স্থানীয় সময় ভোর ২টা ৫২ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বেংকুলু প্রদেশের কাছে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৬৮ কিলোমিটার (৪২.২ মাইল) গভীরে।

দেশটির আবহাওয়া সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ বলেছে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ৮৪ কিলোমিটার গভীরে এবং সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে। 

জাকার্তা থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা বা বিএনপিবির মুখপাত্র আব্দুল মুহারি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানী বেংকুলু শহরে ১শ’টিরও বেশি বাড়ি এবং কমপক্ষে ছয়টি সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আব্দুল বলেছেন,  ‘বেংকুলু শহরে ১৪০টি বাড়ি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে আটটি ভেঙে পড়েছে এবং সেগুলো মেরামত করা সম্ভব নয়।’

তিনি আরো বলেছেন, ভূমিকম্পের ফলে সেন্ট্রাল বেংকুলু জেলায় দু’টি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আব্দুল বলেছেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বেংকুলুর কিছু স্থানীয় মানুষ ভূমিকম্পে জেগে ওঠেন এবং তৎক্ষণাৎ ঘরের বাইরে ছুটে যান।

৩৬ বছর বয়সী এরিক কাতুর নুগ্রোহো এএফপি’কে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের সময় আমার ঘরের জানালা প্রচণ্ডভাবে কেঁপে উঠে। এই কাঁপুনি আমাদের ঘুম থেকে জেগে তুলেছিল।

‘আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাচ্চাদের ঘরের বাইরে নিয়ে গেলাম। বাইরে থাকার সময় আমি যে প্রতিবেশীদের দেখেছি তাদের সবাই বাড়িতে ছিল না।’

বিশাল দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ার কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। এটি একটি তীব্র ভূমিকম্পের চাপ যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলো সংঘর্ষে লিপ্ত হয় যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসিকে কেঁপে ওঠা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১শ’ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার গৃহহীন হয়ে পড়ে।

২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
এছাড়া ২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে সুনামি হয় এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১,৭০,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মুন্সীগঞ্জে দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা 
ভারত যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যুবলীগ নেতা যুবায়ের আটক
বিএমইউতে ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সভা 
সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন গন্তব্যে পৌঁছাতে চায় বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমেদ
নতুনদের বরণে এমআইএসটি-তে উদযাপিত হলো ‘ফ্রেশার্স ডে’, ২০২৫
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন
সরকার দেশের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে : ভোক্তা মহাপরিচালক
এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ
শেয়ারবাজারে কারসাজি : সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ ও ডিসি’সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১ জুলাই
১০