ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস): ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রবিবার ভোরে রাশিয়ার পাঠানো এক ডজনেরও বেশি ড্রোনের হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছে।
কিয়েভ শহর থেকে এএফপি জানায়, এএফপির সাংবাদিকেরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ নিয়ে শহরটি পরপর দ্বিতীয় রাত আকাশপথে হামলার মুখে পড়ল।
শনিবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, রাশিয়া এক রাতে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি আক্রমণাত্মক ড্রোন নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তাইমুর তকাচেঙ্কো বলেন, ‘রোববার ভোরে রাজধানীর আকাশসীমায় শত্রুপক্ষের এক ডজনের বেশি ড্রোন শনাক্ত হয়েছে।’
তিনি টেলিগ্রামে লেখেন, ‘নতুন ড্রোনও আসছে। কিয়েভ ও আশপাশের কিছু ড্রোনকে ইতোমধ্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে নতুন করে আরও ড্রোন রাজধানীর দিকে আসছে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘রাতটি সহজ হবে না। শত্রুপক্ষ কৌশলগত বিমান থেকে বিপুলসংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ড্রোন ধ্বংসাবশেষ একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের ওপর পড়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্কো বলেন, শহর ‘আক্রমণের মুখে’ রয়েছে, তবে ‘বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে’। তিনি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন!’
পরপর এই রাত্রীকালীন হামলাগুলো এমন এক সময় ঘটল, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে।
শনিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই ধরনের হামলা প্রমাণ করে মস্কো ‘যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে’। তিনি আরও একবার নিষেধাজ্ঞা জোরদারের আহ্বান জানান।
শনিবার রাশিয়ার ৩০৭ জন যুদ্ধবন্দিকে ইউক্রেনের সমসংখ্যক সেনার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় বলে কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই জানায়।
এই বড় ধরনের বিনিময়ের প্রথম ধাপে শুক্রবার উভয় পক্ষের ২৭০ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের বিনিময় হয়।