ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে এক বিরল তিরস্কার করে বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়ে সারা দেশে ১৩ জনকে হত্যা করাতে তিনি তার ওপর ‘খুশি নন।’
ট্রাম্প অতীতে পুতিনের প্রশংসা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মস্কোর অবস্থান নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন। পুতিনের কারণে যুদ্ধবিরতিতে অচলাবস্থায় রয়েছে।
ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে মরিস্টাউন বিমানবন্দরের টারম্যাকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘পুতিন যা করছেন তাতে আমি খুশি নই। তিনি অনেক মানুষকে হত্যা করছেন এবং আমি জানি না পুতিনের কী হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময় তার সাথেই মিশেছি কিন্তু সে শহরে রকেট পাঠাচ্ছে এবং মানুষ হত্যা করছে। আমি এটা মোটেও পছন্দ করি না।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো তাদের সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দুই দেশ তাদের বৃহত্তম বন্দী বিনিময় সম্পন্ন করার সময় ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়। উভয় পক্ষের ১,০০০ বন্দী সৈন্য এবং বেসামরিক বন্দীকে ফেরত পাঠানো হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জাইতোমির অঞ্চলে রাশিয়ান হামলায় নিহতদের মধ্যে আট এবং ১২ বছর বয়সী দুটি শিশু এবং ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ান নেতৃত্বের ওপর সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী চাপ না থাকলে এই বর্বরতা বন্ধ করা যাবে না।’
এরিস্টাউনে টারম্যাক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সর্বশেষ সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির ‘কঠোরভাবে’ বিবেচনা করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘সে অনেক মানুষকে হত্যা করছে। আমি জানি না তার কী হয়েছে। তার কী হয়েছে, তাই না? সে অনেক মানুষকে হত্যা করছে। আমি এতে খুশি নই।’
এই বিবৃতিটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর এই সপ্তাহের শুরুতে কংগ্রেসে দেওয়া সাক্ষ্যের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল। যখন তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, ‘এখনই, যদি আপনি নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া শুরু করেন, তাহলে রাশিয়ানরা কথা বলা বন্ধ করে দেবে।’
সোমবার ট্রাম্প এবং পুতিন দুই ঘন্টার ফোনালাপ করেন যার পর মার্কিন নেতা বলেছেন, মস্কো এবং কিয়েভ ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করবে।’
পুতিন ইউক্রেনে তার তিন বছরের আক্রমণ থামানোর কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। শান্তির জন্য মস্কোর দাবির রূপরেখা দিয়ে একটি ‘স্মারকলিপি’ তৈরির জন্য কাজ করতে কেবল একটি অস্পষ্ট প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন।