ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি বিমান হামলায় রোববার গাজায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে সামরিক হামলা জোরদার করেছে তেল আবিব।
গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,"ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকে আছে। আমাদের কাছে উদ্ধার সরঞ্জাম বা ধ্বংসস্তূপ সরানোর ভারী যন্ত্রপাতি নেই। ফলে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।"
মাহমুদ বাসাল জানান, মধ্য গাজার নুসাইরাতের আশেপাশে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হামলায় সাত মাসের গর্ভবতীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। চিকিৎসকরা ওই নারীর গর্ভস্থ সন্তানকেও বাঁচাতে পারেননি।
সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) আশরাফ আবু নার ও তার স্ত্রীও নিহতদের তালিকায় রয়েছেন। বাসালের বরাত দিয়ে জানানো হয়, নুসেইরাতে তাদের বাসভবনে চালানো বিমান হামলায় প্রাণ হারান এই দম্পতি।
বিমান হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রীয় গাজার দেইর আল-বালাহ, উত্তরের বাইত লাহিয়া এবং দক্ষিণের প্রধান শহর খান ইউনুসেও।
বাসাল বলেন, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো রোববার অন্তত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।
যদিও ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসব হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবরোধ কিছুটা শিথিল করেছে দেশটি, যার ফলে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি কিছুটা লাঘব হচ্ছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাফেয়ার্স সমন্বয়কারী সংস্থা কোগাট জানায়, “রোববার জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০৭টি ট্রাক মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।”
দু’মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের অভিযান শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, নতুন করে হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ হাজার ৭৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯০১ জনে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।