ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : গায়ানার নতুন প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী রোববার ব্রিটেন থেকে লাতিন আমেরিকার দেশটির স্বাধীনতার ৫৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন।
গায়ানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেশী ভেনিজুয়েলায়ও প্রথমবারের মতো এসেকুইবোতে একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত করার জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসেকুইবো হচ্ছে গায়ানা কর্তৃক শাসিত, কিন্তু কারাকাসের দাবিকৃত বিতর্কিত তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল।
আলী বলেছেন, তিনি শীঘ্রই ৬৫ সদস্যের সংসদ ভেঙে দেবেন।
তবে এ ব্যাপারে তিনি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি।
২০২০ সাল থেকে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
গায়ানার নির্বাচনী ব্যবস্থা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক। এবার আলী পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংসদের ৬৫টি আসনের মধ্যে তার পিপলস প্রোগ্রেসিভ পার্টি (পিপিপি) ৩৩টি আসন দখল করে আছে।
প্রতিটি দলের তালিকার শীর্ষ প্রার্থীরা হলেন প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী।
আলি বিরোধী দলীয় নেতা অব্রে নর্টনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নর্টন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ একজন সাবেক শিক্ষাবিদ।
গায়ানার রাজনীতিতে জাতিগত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেখানে, আলীর দল মূলত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটারদের সমর্থন পায়, অন্যদিকে নর্টনের পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস-রিফর্ম (পিএনসিআর) মূলত আফ্রিকান দাসদের বংশধরদের দ্বারা সমর্থিত।
গত ২০২০ সালে আলীর নির্বাচন অস্থির ছিল। সরকার এবং বিরোধী উভয়ই বিজয় দাবি করে। নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করতে পাঁচ মাস সময় নিয়েছিল।
এসেকুইবো নিয়ে প্রতিবেশী ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান তাকে কিছুটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
কিন্তু তার সরকার দুর্নীতি এবং তেল রাজস্বের অব্যবস্থাপনার অভিযোগেও জর্জরিত এবং সামাজিক খাতে ব্যয়ের অভাবের জন্য সমালোচিত হয়।
গায়ানায় বিশ্বের বৃহত্তম মাথাপিছু তেল মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দেশটি দিনে ৬ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উৎপাদন করে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই উৎপাদনের মাত্রা দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।