ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ভারতের দুটি প্রধান বেসরকারি পাইলট সংগঠন সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মানবিক ত্রুটির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন।
নয়াদিল্লি থেকে এএফপি জানায়, ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) শনিবার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, বিমানের ইঞ্জিনের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দায় নির্ধারণ করা হয়নি, তবে তাতে উল্লেখ করা হয়- এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করেন তিনি জ্বালানি বন্ধ করলেন কেন, উত্তরে দ্বিতীয় পাইলট বলেন তিনি তা করেননি।
তবে ককপিটে দুই পাইলটের মধ্যে এই সংলাপ ছাড়া আরও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইন্ডিয়ান কমার্শিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিপিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তথ্যভিত্তিক তদন্তের আগেই আত্মহত্যার মতো ভিত্তিহীন ও বেপরোয়া ধারণা ছড়ানো গভীর উদ্বেগজনক।’
তারা আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আত্মহত্যার মতো কোনো দাবি করার পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতার অভাব এবং পেশার মর্যাদার অপমান।’
প্রাথমিক তদন্ত প্রকাশের পর বেশ কিছু স্বতন্ত্র বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ধারণা দেন যে ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুলবশত পাইলটের পদক্ষেপেই লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইঞ্জিন ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ হাতে করে সচেতনভাবে নাড়াচাড়া না করলে বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে, এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এএলপিএ ইন্ডিয়া), যাদের সদস্য সংখ্যা ৮০০, তারাও এএআইবি-র তদন্ত নিয়ে ‘গোপনীয়তা’ ও স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তোলে।
সংগঠনটির সভাপতি স্যাম থমাস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মনে করি তদন্তটি এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে যেন পাইলটদের অপরাধী প্রমাণ করাই লক্ষ্য, যা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
এএলপিএ দাবি করে, তাদের ১ লাখ সদস্য রয়েছে বিশ্বজুড়ে। তারা চায়, ‘তদন্তে স্বচ্ছতা আনার জন্য তাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করার কিছু পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন এবং ভূমিতে থাকা আরও ১৯ জন নিহত হন।