আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগনের সফল সংযোগ

বাসস
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪০ আপডেট: : ০২ আগস্ট ২০২৫, ২৩:৩৬
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : চার সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী দল নিয়ে যাত্রা করা স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল শনিবার কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) সঙ্গে সফলভাবে সংযুক্ত হয়েছে।

কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এএফপি জানায়,  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্পেসএক্স বলেছে, ‘ডকিং নিশ্চিত’! একই সঙ্গে তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, মহাকাশযানটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে (স্থানীয় সময় রাত ২টা ২৭ মিনিটে) আইএসএস-এর সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারী জিনা কার্ডম্যান ও মাইক ফিনকে, জাপানের কিমিয়া ইউই এবং রোসকসমসের রাশিয়ান মহাকাশচারী ওলেগ প্লাটোনভ ছয় মাসের একটি মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যোগ দেন। তারা শুক্রবার সকালে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি ফ্যালকন ৯ রকেটে চড়ে যাত্রা শুরু করেন।

এটি নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের অধীনে আইএসএস-এ একাদশতম ক্রু রোটেশন মিশন। স্পেস শাটল যুগের পরবর্তী ধাপ হিসেবে এই কর্মসূচি বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে।

সংযুক্ত হওয়ার পরপরই আইএসএস-এর পুরোনো ক্রুরা নতুন আগতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের কাছে ঠান্ডা পানীয়, গরম খাবার আর আমরাও আছি-- দেখা হচ্ছে শিগগিরই।’

এর জবাবে মাইক ফিনকে বলেন, ‘হ্যালো স্পেস স্টেশন, ক্রু-১১ এসে গেছে এবং আমরা এই যাত্রায় যোগ দিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত।’

এই মিশনের অংশ হিসেবে ক্রু-১১ মহাকাশচারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আর্টেমিস প্রোগ্রামের আওতায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুর নিকট সম্ভাব্য অবতরণের বিভিন্ন দৃশ্য অনুকরণ করবেন।

কীভাবে মহাকর্ষজগতের পরিবর্তন মহাকাশযান চালনার ওপর, বিশেষ করে ভবিষ্যতের চন্দ্রযানে কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা তারা হ্যান্ডহেল্ড কন্ট্রোলার এবং একাধিক ডিসপ্লে স্ক্রিন ব্যবহার করে পরীক্ষা করবেন।

২০০০ সাল থেকে বাসযোগ্য এই আইএসএস দীর্ঘস্থায়ী মহাকাশ গবেষণার পরীক্ষাগার হিসেবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান, এমনকি এটি ভবিষ্যতের মঙ্গলগ্রহ মিশনেরও প্রস্তুতি।

ক্রু-১১-এর বহনকৃত রঙিন মালামালের মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়ার ডালিম বীজ, যেগুলো মাইক্রোগ্র্যাভিটি ফসলের বৃদ্ধিতে কী প্রভাব ফেলে তা জানার জন্য একটি কন্ট্রোল ব্যাচের সঙ্গে তুলনা করে পরীক্ষা করা হবে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ২০৩০ সালের পর বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর এর কক্ষপথ ধীরে ধীরে নিচে নামিয়ে আনা হবে, যতক্ষণ না এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার স্থান হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দুর্গম অঞ্চল ‘পয়েন্ট নিমো’, যেটিকে মহাকাশযানের কবরস্থান বলা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ফিরে দেখা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪, ২ আগস্ট : সিলেটে গণমিছিলে পুলিশের হামলা, ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া সমাপ্ত, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার হবে
চাঁদপুরে তিনজন জুলাই রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান
ফেনীতে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসে সম্মাননা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২০৯
করোনায় আরও ২ জন আক্রান্ত
গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি অঙ্কিত রিকশা র‌্যালি আগামীকাল
অন্যায়ের সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়ে তুলতে হবে : শারমীন মুরশিদ
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের প্রতি বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উত্তরণের পথকে দীর্ঘায়িত করলে মানুষ আবার জেগে উঠবে : মঈন খান
১০