ঢাকা, ৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : গত বছর জার্মানি ও ব্রিটেনে ডিএইচএল ডিপোতে পার্সেল বিস্ফোরণের ঘটনার এক বছর পূর্তিতে বিমান ডাক পরিবহনে নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
মন্ট্রিয়াল থেকে এএফপি জানায়, রাশিয়ার ওপর দায় দেওয়া ওই বিস্ফোরণ পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) ও ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন—জাতিসংঘের এই দুই বিশেষায়িত সংস্থা নতুন এ কৌশলগত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
জার্মানির লাইপজিগ ও যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত ডিএইচএল ডিপোতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিস্ফোরিত পার্সেল পাঠানো হয়। ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, এই হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অভিযানে জড়িত বেশ কয়েকজনকে ‘ব্যবহারযোগ্য’ বা ‘বর্জ্যযোগ্য’ এজেন্ট হিসেবে বাছাই করা হয়েছিল, যাদের রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থায় আনুষ্ঠানিক কোনো পদ ছিল না। এসব নিচুস্তরের এজেন্টকে সাধারণত মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং টাকার বিনিময়ে তারা কাজ করে।
জার্মান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেন, পার্সেলগুলো যদি মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হতো, তবে সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজগুলো ভেঙে পড়ত।
কানাডা-ভিত্তিক আইসিএও’র বিমান নিরাপত্তা শাখার প্রধান সোনিয়া হিফদি নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘গত ১২ মাসে আমরা দেখেছি আরও পরিশীলিত খেলোয়াড়রা সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটানোর লক্ষ্যে সক্রিয় হয়েছে।’
আইসিএও ও ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ঘোষিত এই ‘বহুবর্ষীয় কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে বিমান ডাক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং ডাক ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে তথ্য বিনিময় বাড়ানো হবে।
সোনিয়া হিফদি বলেন, ‘এটা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল, রাষ্ট্র কিংবা কেবল একটি পক্ষের সমস্যা নয়।’