ঢাকা, ১২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মেক্সিকোর কারাগার থেকে অভিবাসী-পন্থী একজন কর্মী মুক্তি পেয়েছেন। মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত থেকে মেক্সিকো সিটি অভিমুখে একটি অভিবাসী মিছিলের উদ্যোগ গ্রহণের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিচারক ওই কর্মীকে মুক্তি দিয়েছেন কারণ, তার আটকের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিচারক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ওই কর্মীকে আটক করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
টাক্সটলা গুটি'রেজ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
মুক্তি প্রাপ্ত লুইস গার্সিয়া ভিলাগ্রানকে গত মঙ্গলবার গুয়াতেমালার কাছে তাপাচুলা থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল। তিনি পরের দিন মেক্সিকো সিটির দিকে একটি পদযাত্রার নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
লুইস গার্সিয়া ভিলাগ্রানের আইনজীবী হোসে আন্তোনিও মার্টিনেজ সানচেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারক ‘নির্ণয় করেছেন যে আমাদের মক্কেলকে বিচারের জন্য আটকের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই’।
অভিবাসন প্রত্যাশী পন্থী ওই ব্যক্তি প্রায় সপ্তাহব্যাপী আটকের সময় তার আইনজীবী অভিবাসী অধিকারের রক্ষক হিসেবে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারি নথি উপস্থাপন করেন।
এনজিও পুয়েব্লোস সিন ফ্রন্টেরাস (পিপল উইদাউট বর্ডারস) জানিয়েছে, এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ মেক্সিকোতে আটকে পড়া বিদেশিদের জন্য কাগজপত্র দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের দাবি করা।
এনজিওটি জানিয়েছে, গার্সিয়া ভিলাগ্রানকে ফেডারেল এজেন্টরা আটক করেছিল অভিবাসীদের সাথে দেখা করার পর যারা পদযাত্রায় অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেছিল।
যদিও তারা আটক হওয়ার ভয়ে ভীত ছিল। তবুও প্রায় ৩শ’ জন লোক তাকে ছাড়াই একটি মিছিল রওনা দেয়।
তার মুক্তির পর, পুয়েব্লোস সিন ফ্রন্টেরাসের ইরিনেও মুজিকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গার্সিয়া ভিলাগ্রানের ‘মানবিক কাজকে অপরাধমূলক’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেন।
গার্সিয়া ভিলাগ্রান এবং মুজিকা উভয়কেই অভিবাসী মিছিলে সংগঠিত করার সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েক হাজার সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সীমান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে, এমনই একটি মিছিলের সময়, তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন সালাজার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিছিল থেকে লাভবান হওয়ার অভিযোগ আনেন।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, অসংখ্য অভিবাসী মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে, যেখানে তারা কর্তৃপক্ষ এবং অপরাধী উভয়ের দ্বারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।