ঢাকা, ১২ আগস্ট, ২০২৫(বাসস) : জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডাব্লিউএইচও আজ মঙ্গলবার বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার আগে ইসরাইলের উচিত, সেখানকার বিপর্যয়কর স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে দেওয়া।
ইসরাইল আগেই জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিকিউরিটি কেবিনেট এ পরিকল্পনায় অনুমোদন দেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী চরম সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফিলিস্তিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, ‘আমরা মজুত রাখতে চাই। সবাই শুনেছি যে, আরো বেশি মানবিক সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা এখনো ঘটেনি কিংবা খুবই ধীর গতিতে ঘটছে।’
জেরুজালেম থেকে পিপারকর্ন এএফপিকে জানান, ৫২ শতাংশ ওষুধের মজুত শূন্যে নেমে গেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গত মাসে সতর্ক করে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ইসরাইল ত্রাণ প্রবেশে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
পিপারকর্ন বলেন, ‘কঠিন প্রক্রিয়ার কারণে এবং সরঞ্জামগুলো প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ডাব্লিউএইচও তাদের চাহিদার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ সরঞ্জাম আনতে সক্ষম হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের খবরের পর আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালগুলোতে মজুত রাখতে চাই। আমরা বর্তমানে কিছুই করতে পারছি না। সকল প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার।’
পিপারকর্ন বলেন, ‘মাত্র ৫০ শতাংশ হাসপাতাল এবং ৩৮ শতাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে, সেটাও আংশিকভাবে। গাজার সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ।’ ক্ষুধা ও অপুষ্টি গাজাকে বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পিপারকর্ন বলেন, ‘এ বছর অপুষ্টিতে ভুগে ১৪৮ জন মারা গেছে।’ এই হিসাব গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই মাসে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যা গাজায় এক মাসে এখন পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ।’