ঢাকা, ১৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : এয়ার কানাডার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা শনিবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও এক লাখেরও বেশি যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
টরন্টো থেকে এএফপি জানায়, এমনকি এর ফলে সংস্থাটির পুরো সেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এয়ার কানাডার ১০ হাজার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের প্রতিনিধিত্বকারী কানাডিয়ান ইউনিয়ন অফ পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিই) বুধবার ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়ার পর স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ধর্মঘটের আইনি অবস্থানে রয়েছে।
গণমাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে সমঝোতা না হলে শ্রমিক আন্দোলন ভোর ১টার দিকে শুরু হতে পারে।
প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহনকারী এয়ার কানাডা জানিয়েছে, সম্ভাব্য ধর্মঘটের আগে তারা ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সংস্থাটি ৬২৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এক লাখের বেশি যাত্রী।
ইউনিয়নের দাবি, বেতন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডিং প্রক্রিয়াসহ সমস্ত গ্রাউন্ড কাজের জন্যও যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস-এর প্রধান রাফায়েল গোমেজ এএফপিকে বলেন, সারা বিশ্বেই সাধারণত আকাশপথে কাটানো সময়ের ভিত্তিতেই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের বেতন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি কার্যকর প্রচার চালিয়েছে, যা জনসাধারণের মনে এক ধরনের বৈষম্যের ধারণা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন সাধারণ যাত্রী যিনি বিমানে যাত্রী পরিবহণের ব্যবসা নিয়ে তেমন কিছু জানেন না তিনি ভাবতে পারেন, ‘আমি বোর্ডিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছি, ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট সাহায্য করছে, কিন্তু তারা এই কাজে পয়সা পাচ্ছেন না। এটা অবশ্যই সবার সামনে আনার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এয়ার কানাডা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাদের সর্বশেষ প্রস্তাবের বিস্তারিত জানিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে প্রস্তাবিত শর্ত অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে একজন সিনিয়র ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট গড়ে কানাডিয়ান ৮৭ হাজার ডলার (মার্কিন ৬৫ হাজার) আয় করবেন।
সিইউপিই বলেছে, এই প্রস্তাব ‘মূল্যস্ফীতির নিচে এবং বাজারমূল্যের নিচে’।
ইউনিয়ন ফেডারেল সরকার ও এয়ার কানাডার বাকি বিষয়গুলো স্বাধীন সালিশির মাধ্যমে সমাধানের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছে।
গোমেজ বলেন, যদি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা ধর্মঘট করে, তবে তিনি মনে করেন না যে এটি খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে।
তিনি বলেন, এটি পিক সিজন। এয়ারলাইন শত শত মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব হারাতে চায় না। তারা প্রায় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে ‘চিকেন গেম’ খেলছে।