ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বেতন বাড়ানোর দাবিতে কেবিন ক্রুদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কানাডার সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এয়ার কানাডা।
কানাডিয়ান সরকার হস্তক্ষেপ করলেও শনিবার রাত পর্যন্ত এয়ার কানাডার সমস্ত বিমান বন্ধ ছিল। ধর্মঘটের ফলে শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়ে গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এবং যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে ।
টরন্টো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ধর্মঘটের ফলে কানাডার বৃহত্তম বিমান সংস্থার প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছেন। এয়ার কানাডার বিমান বিশ্বের ১৮০টি শহরে সরাসরি চলাচল করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির শিল্প সম্পর্ক বোর্ডের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রোববার বিকেল পর্যন্ত সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
শনিবার মধ্যরাতের ঠিক পরেই বেতন বিরোধের জেরে প্রায় ১০ হাজার বিমানকর্মী ধর্মঘটে শুরু করার পর এয়ার কানাডা সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
কয়েক ঘন্টা পরে কানাডার কর্মসংস্থানমন্ত্রী প্যাটি হাজডু ধর্মঘট বন্ধ করতে এবং উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানান। তিনি আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করার জন্য একটি আইনি বিধান প্রয়োগের প্রস্তাব করেন।
হাজডু সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এমন কোনও সিদ্ধান্ত নয় যা আমি হালকাভাবে নিই। কানাডিয়ান এবং আমাদের অর্থনীতির ওপর তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি’।
তবে, তিনি বলেন যে, এই ধর্মঘটের পর এয়ার কানাডার নিয়মিত পরিষেবা চালু করতে এখনও পাঁচ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
এয়ার কানাডা শনিবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সরকারের সালিশ আদেশের ওপর কানাডা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বোর্ডের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাদের সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
এয়ারলাইন আরো জানিয়েছে, বাতিল হওয়া ফ্লাইটের গ্রাহকদের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে তারা গ্রাহকদের এয়ার কানাডা বা এর কম খরচের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এয়ার কানাডা রুজের টিকিট থাকলে বিমানবন্দরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।