ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার দাবি, বিশ্বের প্রথম নেতা হিসেবে তিনিই প্রথম পানির নীচে অবস্থান করে সরাসরি সাক্ষাতকার দিয়েছেন।
সিডনি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ভিডিও’তে দেখা গেছে, সমুদ্র সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রায় ১৭ হাজার ৬শ’ জনসংখ্যার দেশটির নেতা সুরানজেল হুইপস জুনিয়র ‘মারমেইড’ এর পোশাক পরা এক ব্যাক্তিকে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন। পাশেই ছিল একটি দৈত্যাকৃতির শামুক।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, পানির নীচের এই সাক্ষাতকারটি ‘লাইফি টকিং মাস্ক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে, যা আলোর মাধ্যমে পানির নীচে শব্দ পাঠাতে পারে। প্রযুক্তিটির প্রসার ও প্রচারে কাজ করছেন উদ্যোক্তা গুন্টার পাউলি।
পালাউ বিশ্বে প্রথমবারের মতো পানির নীচে প্রেসিডেন্টের সরাসরি সাক্ষাতকার সফলভাবে আয়োজন করেছে বলেও দাবি করেছে সুরানজেলের কার্যালয়।
পাউলির ‘ব্লু ইকোনমি’ গ্রুপ সাক্ষাতকারটির আয়োজন করে। ফুটেজে দেখা গেছে, হুইপস পানির নিচের বিশেষ পোশাক পরে ‘মারমেইড’-এর সঙ্গে কথা বলছেন। ‘মারমেইড’ এর পোশোকে ছিলেন এস্তোনিয়ার অলিম্পিক সাঁতারু ও পরিবেশকর্মী মেরলে লিভ্যান্ড।
অডিওতে সামান্য ত্রুটি থাকায় বোঝা যাচ্ছে, প্রযুক্তিটি এখনো পুরোপুরি কাজ করছে না।
পালাউ ফিলিপাইনের পূর্বে অবস্থিত। এটি প্রায় ৩৪০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ঝুঁকিতে আছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
প্রেসিডেন্ট হুইপস স্বীকার করেছেন, দেশের কিছু ছোট প্রবাল দ্বীপ আগামী বছরগুলোতে হারিয়ে যেতে পারে।
ডাইভ শেষে হুইপস বলেছেন, ‘পালাউ সব সময় সমুদ্রের টেকসই ব্যবহারে বিশ্বাসী। এটি আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ।’
২০০৯ সালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশীদ স্কুবা ডাইভ পরিহিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে পানির নীচে মন্ত্রিসভার বৈঠক আয়োজন করে খবরের শিরোনামে আসেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে সেশেলসে’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফোর ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত একটি সাবমেরিন থেকে সাক্ষাতকার দেন।