
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার একটি পিকআপ ট্রাকের সঙ্গে অপর একটি দ্বিতল বাসের সংঘর্ষে বাসটি খাদে পড়ে গেলে এতে কমপক্ষে ৩৭ জনের প্রাণহানি ও অপর ২৪ জন আহত হয়েছে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
চিলির সঙ্গে পেরুর সংযুক্তকারী প্যানএমেরিকানা সুর মহাসড়কের একটি অংশে ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লিমা থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
লামোসাস কোম্পানি পরিচালিত দ্বিতল বাসটি মঙ্গলবার রাতে কারাভেলি প্রদেশের চালা শহর থেকে ছেড়ে পেরুর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আরেকুইপা যাচ্ছিল।
বাসটি শিশু ও বয়স্কসহ ৬০ জনের বেশি যাত্রী বহন করছিল।
অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাঁক নেওয়ার সময় পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বাসটি প্রায় ২০০ মিটার নীচে নদী তীরবর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়।
আরেকুইপার আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক ওয়ালথার ওপোর্তো এএফপিকে বলেন, ৩৭ জনের প্রাণহানি ও ২৪ জন আহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তিনি টেলিফোনে জানান, দুর্ঘটনায় আহত কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই দুর্ঘটনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার একটি। সেখানে প্রায়শই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
দমকল বিভাগের মুখপাত্র জ্যাক পায়েজ বলেন, পাথুরে ভূখণ্ডের কারণে প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান ওলগার বেনাভিডেস সাংবাদিকদের জানান, বেঁচে যাওয়া ট্রাক চালককে অ্যালকোহল পরীক্ষার পর আটক করা হয়েছে।
লামোসাস পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, বাস চালক মারা গেছেন।
প্রেসিডেন্ট জোসে জেরি, এক্স-এ এক বার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান।
দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, রাস্তার খারাপ অবস্থা, সাইনবোর্ডের অভাব ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পেরুতে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
দেশের পাহাড়ি ভূ-প্রকৃতিও গাড়ি চালানোর পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক করে তোলে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বুধবারের দুর্ঘটনাস্থলের কাছে, নীচে নদীতে একটি বাস পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছর, পেরুর রাস্তায় ৩ হাজার ১৭৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়।