
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কূটনৈতিক বিরোধের প্রেক্ষিতে বেইজিং ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার পর থেকে জাপানে চীনা পর্যটক হ্রাস পাওয়ায় দেশটির দোকানগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে। তবে চীনা পর্যটক গ্রাহকদের এই কম উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন জাপানের ব্যবসায়ীরা।
শিনা ইতোর টোকিওর জুয়েলারি দোকানে চীনের গ্রাহক হ্রাস পেয়েছে।
তবে তিনি বলেছেন, এতে তিনি উদ্বিগ্ন নন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির তাইওয়ান সম্পর্কে মন্তব্যের পর এই মাসে বেইজিং-টোকিও সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এর ফলে ছুটি কাটাতে আসা চীনা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বুটিক, নুডলস জয়েন্ট ও হোটেলের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পর্যটকরাই জাপানের দোকানগুলোর অন্যতম প্রধান ক্রেতা ও হোটেগুলোর গ্রাহক।
জুয়েলারি দোকানের ব্যবস্থাপক ইতো এএফপিকে বলেন, ‘যেহেতু চীনা গ্রাহক কম, তাই জাপানি ক্রেতাদের জন্য এখানে আসা কিছুটা সহজ হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের বিক্রি আসলে কমেনি।’
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী আসাকুসা জেলায় অবস্থিত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাধারণত অর্ধেক গ্রাহকই চীনা। এই চীনা পর্যটক ক্রেতারা জাপানী পণ্য ক্রয় করতে সারিবদ্ধ দোকানের গলিতে ঘুরে বেড়ায়।
জাপানের অনেক পর্যটন ও খুচরা ব্যবসা চীনা দর্শনার্থীদের ওপর নির্ভর করে। এরা সুশি থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন পর্যন্ত সব কিছুতেই অন্যান্য বিদেশী পর্যটকদের তুলনায় গড়ে বেশি খরচ করে।
কিছু হোটেল, ডিজাইনার পোশাকের দোকান এবং এমনকি ফার্মেসিতেও মান্দারিন ভাষাভাষী সহকারী থাকে আর ডিপার্টমেন্ট স্টোরগুলোতে প্রায়শই চীনা ভাষায় সাইন বোর্ড থাকে।
টোকিওর অভিজাত গিনজা জেলায় অবস্থিত ইনস্টাগ্রাম খ্যাত উদোন নুডল রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক ইউকি ইয়ামামোটো বলেছেন, চীন তার নাগরিকদের জাপান এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করার পর থেকে বিক্রির ওপর তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রভাব লক্ষ্য করেননি তিনি।
তবে তিনি এও বলেন, ‘অবশ্যই, গ্রাহক কমলে তা হতাশাজনক হতে পারে। কিন্তু জাপানি ক্রেতারা এখনও নিয়মিত আসেন, তাই আমরা খুব বেশি উদ্বিগ্ন নই।’
চীন জাপানের প্রধান পর্যটক উৎস, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে প্রায় ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন চীনা পর্যটক এসেছেন— যা সব বিদেশি পর্যটকের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন পর্যটকের রেকর্ড আগমনও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
অনেক জাপানি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত পর্যটনের প্রভাব পড়ছে।