
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণের চারদিন আগে, অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোট।
কারাকাস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
জানা যায়, এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতা দেশটির বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
তিনি জানান, নরওয়ের অসলোতে গিয়ে সরাসরি পুরস্কার গ্রহণ করতে চান। কিন্তু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়টি তাকে ১০ ডিসেম্বরের আগেই নিশ্চিত করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা ঘোষণায় বিরোধী জোট জানায়, নোবেল সবার, আসুন, নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘিরে বিশ্বজুড়ে একসঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেই।
যদিও কোন কোন শহরে বিক্ষোভ হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে আত্মগোপন থেকে বের হয়ে এলেও এবার মাচাদো নিজে এই বিক্ষোভে অংশ নেবেন কি না, তাও জানানো হয়নি।
২০২৪ সালের জুলাইতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পুনর্নির্বাচনকে ঘিরে আন্দোলনের সময় প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে ভেনেজুয়েলায় বিরোধী আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে আছে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ আনেন মাচাদো। তার এই বক্তব্যের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ সমর্থন জানিয়েছে।
‘মাদুরো মাদকচক্র পরিচালনা করেন’ বলে ওয়াশিংটনের অভিযোগকেও সমর্থন জানিয়েছেন এই বিরোধী নেতা।
এ ছাড়াও অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন নোবেলজয়ী মাচাদো। গত সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় মাচাদো বলেন, আমরা এক নতুন যুগের দোরগোড়ায় রয়েছি। এই দীর্ঘদিনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও সহিংসতা এখন শেষের পথে।
মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে ভেনিজুয়েলার ক্ষমতায় রয়েছেন।
গত ১০ অক্টোবর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটি জানায়, ভেনিজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাচাদোর ‘অবিরাম প্রচেষ্টা’ এবং ‘স্বেচ্ছাচারিতা থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সংগ্রাম’ এই স্বীকৃতি পাওয়ার অন্যতম কারণ।
লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট ও নেতা মাচাদোর সঙ্গে নরওয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
যদিও ভেনিজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাআব বৃহস্পতিবার এএফপিকে স্পষ্ট করে জানান, মাচাদো দেশ ছাড়লে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কারণ, তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত চলছে।