
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের পর শততম টেস্টের দুই ইনিংসে অন্তত পঞ্চাশ ছোঁয়ার অনন্য কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামেন মুশফিক।
শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েন মুশফিক। বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির নজির গড়েন তিনি। শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে এটি ১২তম ঘটনা ছিল। কারণ বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
২০০৬ সালে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১২০ ও অপরাজিত ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পন্টিং।
পন্টিংয়ের মত শততম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে না পারলেও, দুই ইনিংসে অন্তত পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ১০৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি।
তাই টেস্ট ইতিহাসে শততম ম্যাচের দুই ইনিংসে অন্তত পঞ্চাশ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড পন্টিং ও মুশফিকের দখলে।
মুশফিক ও পন্টিং ছাড়াও ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের কলিন ক্রাউড্রে-অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও জো রুট, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াদাঁদ ও ইনজামাম-উল হক, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ।
প্রথম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন ক্রাউড্রে। ১৯৬৮ সালে বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
শততম টেস্টের দুই ইনিংসে অন্তত পঞ্চাশ রান করা দুই ব্যাটার :
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)- ১২০, বিপক্ষ- দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেন্যু- সিডনি, তারিখ- ২ জানুয়ারি ২০০৬
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)- ১৪৩*, বিপক্ষ- দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেন্যু- সিডনি, তারিখ- ২ জানুয়ারি ২০০৬
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)- ১০৬, বিপক্ষ- আয়ারল্যান্ড, ভেন্যু- মিরপুর, তারিখ- ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)- ৫৩*, বিপক্ষ- আয়ারল্যান্ড, ভেন্যু- মিরপুর, তারিখ- ১৯ নভেম্বর ২০২৫