বাংলাদেশে এসেছি কাবাডি উপভোগ করতে : এমা এটলে

বাসস
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২০

ঢাকা, ২২ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : নারী বিশ্বকাপ কাবাডিতে টানা তিন ম্যাচ অসহায় আত্মসমর্পন করেছে  জার্মানি। হেরেও তাদের খেলোয়াড়দের অবয়বে হাসি লেগেই আছে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনও আসরে খেলতে এসে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি উপভোগও করছেন জার্মানির খেলোয়াড়রা। তাদের অন্যতম খেলোয়াড় এমা এটলের কথাতেই তা পরিস্কার।

সাধারণত কাবাডি দল হয়ে থাকে ১৪ সদস্যের। কিন্তু জার্মানি এসেছে ১০ জন নিয়ে। দলটিতে নানান পেশার খেলোয়াড় রয়েছেন। ডাক্তার,ছাত্রী ও চাকুরীজীবি। বিশ্বকাপ কাবাডির তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় পুরো দল নিয়ে ঢাকায় আসতে পারেনি জার্মানি। শেষ মুহূর্তে কয়েকজন দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

এছাড়া আরও একটি বিষয় রয়েছে। এক বছরও হয়নি জার্মানি নারী কাবাডিতে নাম লিখিয়েছে। এখনও তাদের খেলাটি সৌখিনতার পর্যায়ে আছে। দুটি শহর স্টুটবার্গ ও নুরেমবার্গে শুধুমাত্র কাবাডির চর্চা হয়। সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন নারী খেলোয়াড় আছেন।

সপ্তাহান্তে খেলোয়াড়রা এক হয়ে কাবাডির চর্চা করে থাকেন। দলটির কেউ কেউ আবার একাধিক খেলা খেলে থাকেন। যার মধ্যে বক্সিং, রাগবি ও ফুটবল অন্যতম।

বর্তমান দলটির কোচ একজন ভারতীয়। ঢাকায় জার্মানির জন্য ম্যাচ জেতা কঠিন হবে, দলের অন্যতম খেলোয়াড় এমা এটলে তা আগে থেকেই জানতেন। তাই পুরো টুর্নামেন্টটি সবাই মিলে বেশ উপভোগ করছেন। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে খেলা শেষে এক ফাঁকে স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী এমা জানালেন, ‘আমরা এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে এসেছি। শুধু তাই নয়, প্রতিযোগিতামূলক খেলাতেও প্রথম আসলাম। এর আগে শুধু আমাদের প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছি। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো দল। সেই ম্যাচগুলোর ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে।’

জার্মানি তিনটি ম্যাচেই আত্মসমর্পন করেছে। ম্যাচে কোনও সময় তারা রেইড করতে এসে হাসছে। আবার প্রতিপক্ষ কীভাবে খেলছে তা অবাক চোখে দেখছে। এমনকি খেলার আইন কানুনও এখনো শিখছে। এমা বললেন, ‘আমরা এক বছরও হয়নি কাবাডি শিখছি। এখনও সেভাবে শিখে উঠতে পারিনি। তাই এখানে অনেক কিছু শিখছি। বলতে পারেন খেলার নিয়ম কানুনও। আর একটি কথা বলে রাখি বলতে পারেন বাংলাদেশে এসেছি কাবাডি উপভোগ করতে।’

কাবাডি তাদরে জীবিকার উৎস নয়। সৌখিনতার বশে শুধু খেলছেন। তবে স্বপ্ন দেখেন হয়তো সামনের কয়েক বছর পর তাদের ওখানে প্রো কাবাডি হবে। খেলার মধ্যে পেশাদ্বারিত্ব আসবে। এমা আশাবাদী কন্ঠে বললেন,‘ আমরা তো শুরু করলাম বেশি দিন হয়নি। এখন ৩০-৪০ জন খেলোয়াড় আছে। মাত্র দুটি শহরে কাবাডির কিছু প্রচলন হচ্ছে। সামনের দিকে হয়তো একসময় পুরো জার্মানি জুড়ে কাবাডির চর্চা হবে। আমরাও একসময় আমাদের দেশে প্রো কাবাডির আয়োজন করতে পারবো। আমাদের মেয়েরা খেলবে। আমরা সবাই পেশাদার হবো।’

বাংলাদেশে এসে আতিথিয়েতা পেয়ে খুশি সবাই। এখানকার অভিজ্ঞতা  নিজ দেশে কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয় করতে চাইছেন এমা ও তার সতীর্থরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি 
লুকাশেঙ্কো-ট্রাম্প চুক্তির অংশ হিসেবে বেলারুশ ৩১ জন ইউক্রেনীয়কে ক্ষমা করেছে
যথাসময়ে নির্বাচন না হলে দেশে সংকট তৈরি হবে : জামায়াত আমির
তৃতীয়বারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড
বিএমইউতে পোস্টগ্রাজুয়েট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম উন্নয়নে গোলটেবিল বৈঠক
সুনামগঞ্জে জেলা কাব হলিডে 
প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৪৭ রান
বাংলাদেশে এসেছি কাবাডি উপভোগ করতে : এমা এটলে
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের
১০