শিরোনাম
ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): চরাঞ্চলের উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য সফলতা বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।
তিনি আজ রাজধানীর বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে মেকিং মার্কেটস ফর চরস (এমফোরসি) এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের "অর্থনৈতিক নীতি কৌশলে চরের অবস্থান " শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন বৈষম্য নিরসনে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশের তৃণমূলে চরাঞ্চলের মানুষের সংকট নিরসনে সর্বদাই নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের সংকটকালীন মূহুর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নে যে রূপরেখা প্রদান করেছিলেন তা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
কৃষির উন্নয়ন এবং এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অবদানও উল্লেখযোগ্য বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের চরাঞ্চলে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতিতে চরাঞ্চলের এই জমি ইতিবাচক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, চরে উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু পণ্যের গুণগত মান ও চাহিদা অনেক বেশি। দেশের অর্থনৈতিক নীতি কৌশলে চরের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করা হলে আমাদের এসডিজি ও ২০৪১ এর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান সহজ হবে।
ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আতিউর রহমান বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির একটি সৃজনশীল ব্যবহার পোর্টেবল সোলার সিস্টেম। চরাঞ্চলের কৃষিতে এই পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকারি উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কৃষিক্ষেত্রে সম্পূরক ভূমিকার ফলে চর বদলে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিবেচনায় চরাঞ্চলে মনোযোগ বাড়ানো দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।।
তিনি আরো বলেন, চরের কৃষিতে নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই হবে। এতে চরের কৃষি উৎপাদনের দক্ষতা যেমন বাড়বে, তেমনি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আরডিএ’র মহাপরিচালক মো. খুরশিদ আলম, এমফোরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মজিদ, সুইসকন্ট্যাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, এবং পিকেএসএফ ও সেভ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।