বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৬

দেশের ১৩টি শ্রম আদালতে ২৩ হাজার ৮৩০টি মামলা রয়েছে : শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল আদালতের চেয়ারম্যান এম.এ.আউয়াল বলেছেন, দেশের ১৩টি শ্রম আদালতে ২৩ হাজার ৮৩০টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ১হাজার ২৫০টি মামলা।
তিনি বলেন, সরকার এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ উদ্যোগে গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে অনেক পুরানো শ্রম মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
শ্রম আইন-২০০৬ এর সংশোধনী বিষয়ে একটি অংশীজন বৈঠকে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।
আজ সকালে ঢাকার একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশেরে উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একেএম নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় শ্রম আইন-২০০৬ এর সংশোধনী বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সলিডারিটি সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও শ্রম আইন সংশোধনী কমিটির সভাপতি হাজেরা খাতুন, সলিডারিটি সেন্টারের এশিয়া আঞ্চলিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফ্রেড অ্যাজকারেটে, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর উপ-পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট মো. বরকত আলী এবং বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপন, শ্রমিক নেতা চৌধুরী আশিকুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মূল বক্তব্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বিভিন্ন ধারা-উপধারা সংশোধনের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভার জন্য ৪০টি  সুপারিশ উত্থাপন করে তা প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করেন। এতে শ্রম ও শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও অধিকার সমুন্নতকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালীকরণ এবং শ্রম বিষয়ক আইনি প্রতিকার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি অংশীজন বৈঠকে দেশের বিশিষ্ট শ্রম বিশেষজ্ঞরা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় প্রস্তাবিত উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- বরখাস্তকৃত শ্রমিককে তার অর্জিত সার্ভিস বেনিফিট থেকে বঞ্চিত না করার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী, নিয়োগকর্তাদের দ্বারা অসৎ শ্রম আচরণকে মোকাবেলা করার জন্য কার্যকর সংশোধনী, শ্রম আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিতে শ্রমিক সংগঠনের মনোনীত বহিরাগত প্রতিনিধি বা উকিলদের অন্তর্ভুক্তি,  শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০২২-এর সংশোধনীতে যে সকল শ্রমিক অধিকার হ্রাস পেয়েছে তা ফিরিয়ে আনা, ছুটি উপভোগের ক্ষেত্রে চা শ্রমিকরা যে বৈষম্যের সম্মুখীন হন তার সমাধান, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রভৃতি।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনে ৪০টি সুপারিশের প্রস্তাবনার উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা  বলেন, এই আইনের অধীনে সকল শ্রমিকের সার্বজনীন অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। একটি ইউনিয়ন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের সংখ্যা (২০ শতাংশ) আইএলও কনভেনশন-এর ৮৭ এবং ৯৮ এর সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এটি শ্রমিকদের আরও শোভন কাজের পরিবেশ এবং ন্যায্য মজুরির ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য শক্তিশালী করবে।