বাসস
  ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:২৩
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪০

কারখানা শ্রমিকের সন্তানের জন্য চল পড়ি’র ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : দেশের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সন্তানদের মানসম্পন্ন পড়ালেখা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম চালু করেছে শিক্ষা বিষয়ক অনলাইন প্লাটফরম ‘চল পড়ি’। 
‘চল পড়ি লার্নিং আনলকড ফর এমপ্লয়িজ’ বা সিএলইউই নামের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের মাঝে তাদের সন্তানদের জন্য স্বল্পমূল্যে চল পড়ি’র ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করতে পারবেন। 
গত অক্টোবর মাসে চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি দেশের যেকোনো শিল্পখাতের যে কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের সিএসআর উদ্যোগের আওতায় ব্যবহার করতে পারবে।
শিক্ষায় পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে সিএলইউই প্রোগ্রামের আওতায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে চল পড়ি। আর এর মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের জন্য স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করতে পারবেন।
সর্বপ্রথম ব্যবহারকারী হিসেবে চল পড়ি’র সিএলইউই প্রোগ্রামটিতে ইতোমধ্যে অংশ নিয়েছে সাশা গার্মেন্টস লিমিটেড। ১ হাজারেরও বেশি কর্মীনির্ভর সাশা গার্মেন্টস কিউবস, ড. ডেনিমের মতো বিভিন্ন স্ক্যান্ডেনেভিয়ান ব্র্যান্ডের জন্য ওভেন গার্মেন্টস তৈরি করে। সিএলইউই প্রোগ্রামটি ব্যবহারের ব্যাপারে সাশা গার্মেন্টস লিমিটেডের পরিচালক ও সাশা ডেনিমস লিমিটেডের এমডি শামস মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের কর্মীদের সন্তানেরা যেন উন্নত সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ ভিন্ন, একটি উন্নত জীবন পেতে পারে।’      
সিএলইউই প্রোগ্রামের বিষয়ে চল পড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার উপরে রয়েছি আমরা। আমার মনে হয়, এই তালিকাটি দেখলেই অদক্ষ কর্মী নির্ভর অর্থনীতি থেকে দক্ষ কর্মী নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করা যায়। আর এই কাজটি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই করা সম্ভব। কেবল তখনই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আরও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে তাল মিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তনশীল চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে পারবে।’