বাসস
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২

গোপালগঞ্জে বড়দিনের প্রার্থনাা জন্য প্রস্তুত ১৭০ গীর্জা

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এদিন যীশু খ্রিষ্টের জন্ম দিন। দিনটিকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করেন। বড়দিনকে সমনে রেখে গোপালগঞ্জের ১৭০ টি গীর্জায় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। গীর্জাগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সেখানে ক্রিসমাস ট্রি  গোয়ালঘর সাজানো হয়েছে। বড়দিনের তারা জ্বল জ¦ল করছে প্রতিটি গীর্জায় । ১ ডিসেম্বর থেকে চলছে প্রভাতী কীর্ত্তণ।  গীর্জাগুলোতে প্রাক্ বড়দিনের উৎসব হয়েছে। গোপালগঞ্জের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপনে মার্কেটিং, প্রার্থনা, সাজসজ্জাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি  সম্পন্ন করেছেন।
বড়দিন সাড়ম্বরে উদযাপনে সরকারের ত্রাণ ও দুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জের ১৭০ টি গীর্জায় ৮৫  টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। বড়দিনে গীর্জায় প্রার্থনায় অংশ গ্রহণকারীদের প্রীতিভোজের জন্য জেলার গীর্জা প্রতি ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে ওই মন্ত্রণালয়। গোপালগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা  মোঃ আশ্রাফুল হক এ তথ্য জানিয়ে বলেন,  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৪ টি গীর্জার জন্য ১২ টন, কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি গীর্জার জন্য ৩ টন ৫০০ কেজি , কোটালীপাড়ার ১০০টি গীর্জার জন্য ৫০ টন, মুকসুদপুরের ৩৪টি গীর্জার জন্য ১৭ টন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৫টি গীর্জার জন্য ২ টন ৫০০ কেজি চাল  বরাদ্দ দিয়েছে ওই মন্ত্রণালয়। আমরা প্রতিটি গীর্জায় এ চাল বিতরণ সম্পন্ন করেছি।
গোপালগঞ্জে খ্রিস্টান যুব এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিমিয়োন হাজরা জয় বলেন, গোপালগঞ্জে বরাবর উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছরও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা সম্প্রীতির গোপালগঞ্জে উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হবে। ইতিমেধ্যে গীর্জাগুলো ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রংএর ছটায় সেজেছে গীর্জাঘর।  বর্নিল পতাকা ও ফুলেল সাজে সেজেছে প্রতিটি গীর্জা। এখন আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে ভজনালয়গুলো । বড়দিনের আগে প্রাক্ বড়দিন উৎসব হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ডলীর পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বের করা হচ্ছে প্রভাতী কীর্ত্তণ। খ্রিষ্টান বাড়িতে ক্রিসমাসট্রি সাজানো হয়েছে। টানোনো হয়েছে বড়দিনের তারা। খ্রিষ্টান বাড়ি ও গীর্জায় এখন সাজসাজ রব। বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। সরকার প্রতিটি গীর্জায় ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এ চাল দিয়ে বড়দিনের প্রর্থনায় অংশ নেওয়াদের প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করা হবে ।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গীর্জার ফাদার ডেভিড ঘরামী বলেন, যীশুখ্রিস্টের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর আমাদের কাছে একটি আনন্দঘন শুভদিন। ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯ টা থেকে আমাদের গীর্জায় বড় দিনের প্রার্থনা শুরু হবে। চলবে রাত ১টা পর্যন্ত। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় আমাদের গীজায় প্রার্থনা শুরু হয়ে দুপুর ১ পর্যন্ত চলবে। প্রার্থনা শেষে এদিন দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ১ হাজার ২০০ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেবেন। বিকেলে সুধীজনের সাথে বড় দিনের  তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। বড়দিনের অনুষ্ঠানমালা সফল করতে গীর্জায় মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক খ্রিস্টান নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছেন। এছাড়া বড়দিনকে সমানে রেখে প্রভাতী কীর্ত্তণ  হয়েছে। অনেক গীর্জায় প্রাক্ বড়দিন উৎসব হয়েছে। বড়দিনকে সামনে রেথে প্রতিটি গীর্জায় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।