শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নির্বাচনে তাঁর কৌশলগত অবস্থানে এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষের অভাবিত বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই বিজয়কে নানা ধরনের কূটকৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা চায় তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা এবং জনগণের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা নেই।
বঙ্গবন্ধুর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন বাঙালিদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আজ বুধবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে মেয়র বলেন, স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে রমনার বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিলেন আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় প্রণয়ন করলেন সংবিধান। তার অনুপ্রেরণাদায়ক উপস্থিতি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগালো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে-মিশে বসবাস করছি তা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফলেই সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশের ভিত্তি রচিত হওয়ায় সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জেন্ডারের ভিন্নতার কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে না। আজ আমাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু নেই, তবে আমরা যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে থাকি তাহলে সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে অচিরেই অর্জন করব ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মেয়র রেজাউলের সাথে ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, হাজী নুরুল হক, জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, শাহেদ ইকবাল বাবু, শৈবাল দাস সুমন, আবদুস সালাম মাসুম, মো. ইসমাইল, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আতাউল্লা চৌধুরী, আবদুল মান্নান, শাহীন আকতার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদসহ বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আজ বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে দেশ হানাদারমুক্ত হলেও পরিপূর্ণ বিজয় সেদিন আসেনি। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয় পরিপূর্ণতা অর্জন করে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও দলীয় সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই দৃষ্টান্ত বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের জন্য একটি শুভ বার্তা এবং শেখ হাসিনার চিন্তন কৌশলে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশি-বিদেশি অপশক্তির মুখে বড় চপেটাঘাত।
সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বদিউল আলম, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আতিকুর রহমান, কাজী হুমায়ুন আলম মুন্না, ইলিয়াছ সরকার প্রমুখ।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ বিকেলে দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি এড ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মো. আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ইঞ্জি. মো হারুন, উপদেষ্টা এড এমএ নাসের চৌধুরী প্রমুখ।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে র্যালির মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ চুয়েট পরিবারের সদস্যগণ। এরপর চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
চুয়েট ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিভিল এবং এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ এইচ রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. স্বপন কুমার রায়, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম ও স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
জাতির পিতার আতœার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা নুরুল্লাহ। সঞ্চালনায় ছিলেন সিন্ডিকেট শাখার সেকশন অফিসার মীর মোহাম্মদ রাতুল হাসান।