শিরোনাম
ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ১২ তম ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি আমরা অতিথিপরায়ন জাতি। এটি শুধু বললেই হবে না, সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সেবার মান ও সেবার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প বিভিন্ন দেশের জিডিপি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে এবং উন্নয়নেও যাতে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। বর্তমান পৃথিবী প্রচারের পৃথিবী। সারা বিশ্বের পর্যটকদের জানাতে হবে আমাদের কি কি সুবিধা আছে, কিভাবে তারা আমাদের এখানে আসবেন, কি কি দেখবেন। আমাদের এখানে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই। পর্যটক বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কৌশলের মাধ্যমে আমাদের প্রচার বাড়াতে হবে।
ফারুক খান বলেন, বিদেশে বিভিন্ন পর্যটনমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেখানে ভালো জায়গায় স্টল নিতে হবে, সৃজনশীল কর্মতৎপরতা ও প্রচারের মাধ্যমে দেশকে উপস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন মেলায় আমাদের বেসরকারি খাতের অপারেটররা যাতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পে সরকারের কাজ পলিসি তৈরি করা আর পর্যটন প্রসারে কাজ করে বেসরকারি খাত। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পলিসি পর্যটন বান্ধব। আমরা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো। অন-অ্যারাইভাল ভিসাসহ তাদের আর কি কি সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তা স্টেকহোল্ডার সভার মাধ্যমে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শিবলুল আজম কোরাইশির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুব আলম, বেসামরিক বিমান পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মান চোং, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আজ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে। মেলায় তিনটি স্টলে ১২টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল থাকছে। সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকছে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন। এছাড়াও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হবে।