বাসস
  ২৫ মে ২০২৪, ২১:৩৮

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় প্রস্তুত ৮৬৯ টি সাইক্লোন সেল্টার

ভোলা, ২৫ মে, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯ টি সাইক্লোন সেল্টার। এ সবের ধারণ ক্ষমতা ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ জন। মাঠে কাজ করবে সিপিপির ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক।  এছাড়া মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৮ টি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা থাকবে ৮ টি কন্ট্রোল রুম। 
আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। 
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের প্রত্যেক উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্যোগে আমাদের প্রত্যেককে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আগামীকাল থেকে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ  এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে। 
জেলা ত্রাণ  ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এছাড়া চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী  বাবদ ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার ২ হাজার  ২২৩ প্যাকেট।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত রয়েছে ৯৮ টি মেডিকেল টিম। ৯টি এম্বুলেন্সসহ পানি বিশুদ্ধকরণের বড়ি রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি। 
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ৮৬৯ টি সাইক্লোন সেল্টার এর পাশাপাশি ১৪ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। যাতে ৫ হাজার ৩০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। 
সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কায়সার খসরু, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিশুল কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ অন্যরা।