বাসস
  ০৩ জুন ২০২৪, ১৯:৪৭
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ০০:২৬

বিমসটেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে : পান্ডে

ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৪ (বাসস) : দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এর মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেছেন, ফোরামের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে এবং এর আসন্ন ৬ষ্ঠ^ শীর্ষ সম্মেলন আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ফলাফল বয়ে আনবে।
তিনি আজ রাজধানীতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিসিএবি)’র সচিবালয়ে সংগঠনের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিমসটেকের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। বিমসটেককে একটি সাফল্যের গল্পে পরিণত করা নিশ্চিত করতে এর সকল সদস্য সত্যিকার অর্থেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 
বিমসটেক হলো- সাতটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ অঞ্চলের জনসংখ্যা ১.৭৩ বিলিয়ন এবং গত বছর এ অঞ্চলের সম্মিলিত মোট দেশজ উৎপাদন ৫.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ডলার।
বিমসটেকের আসন্ন ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে মহাসচিব বলেন, এবছরের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ শিগগির ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। এটি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেবে। এটি বিমসটেকের ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।’
পান্ডে বলেন, আশা করা হচ্ছে যে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন আঞ্চলিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে শক্তি জোগাবে।’
তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনে ব্যাংকক ভিশন-২০৩০ গ্রহণ করবে যা একটি সামগ্রিক দলিল হবে, যা  সংস্থাকে দিকনির্দেশনা দেবে এবং এটি একটি উল্লেখযোগ্য ফল হবে।
সামুদ্রিক সহযোগিতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলো সামুদ্রিক সংযোগ সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করলে তারা বিস্তারিত জানাবেন।
পান্ডে বিমসটেক চার্টারে প্রবেশের তাৎপর্য তুলে ধরে আশা করেন যে এটি এ অঞ্চলে সহযোগিতার  ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
থাইল্যান্ড ৩০ মার্চ, ২০২২-এ বিমসটেক-এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে এ সহযোগিতাকে পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম এমন একটি স্থিতিস্থাপক সংস্থায় রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয়।
থাইল্যান্ড দ্রুত ও ব্যাপক অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন এবং সাত সদস্য দেশের সমষ্টিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়।
থাইল্যান্ডে পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাত জাতিগোষ্ঠীর নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
ডিসিএবি সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।