বাসস
  ০৪ জুন ২০২৪, ১৯:১৮
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ১৯:২১

প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৪ জুন, ২০২৪ (বাসস): প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জরুরি বিভাগ রয়েছে। যেকোনো রোগীকে সেখানে প্রথম সেবা দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ খাতেও জরুরি সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের আয়োজনে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ‘নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদের সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হলে যারা প্রাণিকে সেবা দেয় তাদের সেবাকেও জরুরি সেবার অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। এখাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে এটি দরকার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এবং পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো. আব্দুর রহিম, এলডিডিপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুকনুজ্জামান অঞ্জন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিপ্রেক্ষিতের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফাতেমা ইসলাম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেন, কোরবানিতে চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুর যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কোন ধরনের চিন্তার কারণ নেই। চামড়া প্রাণিসম্পদের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর দাম নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ, ও বাজারজাতকরণের কাজে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ফেলোশীপ সম্পন্নকারী প্রত্যেককে ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় এবং ফেলোশীপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া এ দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।