বাসস
  ০৫ জুন ২০২৪, ২০:৪৬

পর্যটন শিল্প বিকাশে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি : সেমিনারে বক্তারা 

ঢাকা, ৫ জুন, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভূমিকা সুসংহত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। 
বক্তারা আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। এসময় তারা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় পণ্য ও সেবাখাত উন্নয়নে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রধান অতিথি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা বিশেষ অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেব। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ জাবেদ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুন নাসের খান, পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প), বিসিক। 
বিসিকের পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী, বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ি প্রতিনিধিবৃন্দ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিসিকের নকশাবিদ শেখ আলী আশরাফ ফারুক। 
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সঞ্জয় কুমার ভৌমিক গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ এবং শিল্প সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। 
বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন এবং বিকাশে বিসিক সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই শিল্পগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। 
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবো। এছাড়াও সম্প্রতি আমাদের দেশের ভেতরেই পর্যটক সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিসিকের অবদান ১১ শতাংশ। শিল্প ক্ষেত্রে ১০ লাখের অধিক কর্মসংস্থান বিসিকেই হয়েছে যার মধ্যে তিন লাখেরও বেশি  নারী।’