বাসস
  ০৯ জুন ২০২৪, ১৯:০৯
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ১৯:২৯

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর ওপর মার্শাল ল’ শাসন চলেছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ জুন, ২০২৪ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোন সরকার  নদীর নাব্যতা, সিলটেশন ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেনি, কোন কাজ করেনি, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করেছে। ইমারজেন্সি দিয়ে দেশ চালিয়েছে। নদীর ওপর মার্শাল ল’ শাসন চলেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার ঢাকায় মতিঝিলস্থ বিআইডব্লিউটিএ ভবনে বিআইডব্লিউটিএ ও ইউএসএইড আয়োজিত ‘মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল আপগ্রেডিং প্রজেক্ট-কনসেপচুয়াল স্টাডি’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোঁয়া যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটার অনুভূতি অন্যরকম বিষয়। বঙ্গবন্ধু যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানে সোনায় পরিণত হয়েছে। 
তিনি বলেন, মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। চ্যানেলে নাব্যতা সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দূর করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। এই চ্যানেলের ড্রেজিং নিখুঁত হতে হবে। এটি বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল রুটের অংশ।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসি’র সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান এবং ইনস্টিটিউট  অব ওয়াটার মডেলিংএ ও পরিচালক রুবায়েত আলম। ইউএসএইড এর টিম লিডার জীন হেনরী লেবোয়রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নৌপথের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য ১৯৭৫ সালে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান কোন ড্রেজার সংগ্রহ করেননি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিআইডব্লিউটি-তে ৩৮টি নতুন ড্রেজার সংযুক্ত হয়ে ৪৫টি হয়েছে। আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং এর বালু নদীতে ফেলা হয় না। শুধু ইমার্জেন্সি ফেরি রুট ও নৌরুট খননের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে এখন আর নৌপথ খননে ড্রেজারের অভাব নেই। সরকারি ও বেসরকারি মিলে প্রায় ২০০টি ড্রেজার রয়েছে। মোংলা বন্দরে কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য ২০১৩-১৪ সালের দিকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু করা হয়েছিল।