বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭

শেরপুরে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম

শেরপুর, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : চরাঞ্চলে এ বছর সবজির বাম্পার ফলন ও বাজারে সরবারহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুরে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম।

এক সপ্তাহ আগে সবজি বেশি দামে বিক্রি হলেও এখন তা কেজি প্রতি দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভালো ফলনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি।
জানা যায়, সবজি উৎপাদনের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলা অন্যতম। তাই সদরের চরাঞ্চলকে সবজির ভাণ্ডার বলা হয়।

প্রতিবছর জেলায় প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

যেখানে জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া চলতি বছর শেরপুর সদর উপজেলায় বন্যার প্রভাব না পড়া ও আবহাওয়া  অনুকূলে থাকায় শীতের আগাম সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে শীতকালীন সব ধরনের সবজি এক সঙ্গে বাজারে ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে।

রোববার সকাল ৯ টায় শেরপুর সদরের নবীনগর হাজীর বাজার, নয়আনী বাজার, চাঁপাতলি ও কুসুমহাটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজি আগের চেয়ে কেজি প্রতি দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, করলা, ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা,  পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপির দাম কমে ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

এদিকে শেরপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির মোকাম পৌর পার্কে পাইকারি প্রতিটি সবজির দাম প্রতি মণে কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

শেরপুর সদরের কামারের চর এলাকার কৃষক জুলহাস মিয়া জানান, চরাঞ্চলের মাটি খুব উর্বর। তাই তারা এসব জমিতে প্রতিবছর সবজির চাষ করে থাকি। এ বছর শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে আমরা খুশি। আশা করছি সবজি চাষে খরচ বাদে আমাদের ভালই লাভ থাকবে।

শেরপুর শহরের নবীনগর হাজীর বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী মো. শরাফত মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজি একসঙ্গে ওঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়ছে। আর এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। দাম কমার কারণে ক্রেতারা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। বাজারে সবজি বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কেজি প্রতি সবজির আরো কমবে।

শেরপুর সদরের কুসুমহাটি বাজারের সবজি ক্রেতা আরমান আলী জানান, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সবজির দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ক্রয় করা কষ্ট হয়ে যায়। এখন বাজারের প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। আমরা সাধারণ ক্রেতারা চাই আসন্ন রমজানে ও যেন দামের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।