পাহাড়ে বাড়ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ

বাসস
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪

মনসুর আহম্মেদ

রাঙ্গামাটি, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে বাড়ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ। পাহাড়ি টিলায় চাষ হচ্ছে আগাম জাতের এ হানিকুইন জাতের আনারস। 

এ আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশি। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় হানিকুইন জাতের এ আনারসের চাষ বেশি হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলার পাহাড়ি এলাকাতেও চাষ হচ্ছে হানিকুইন। 

প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই পাওয়া যায় হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। মৌসুমের আগে এ জাতের আনারস উৎপাদন হওয়াতে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান এবং আনারসের ভালো দাম পাচ্ছে। এতে পাহাড়ে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

মৌসুম শুরুর বেশ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উৎপাদিত ফল আনারস। বর্তমানে নানিয়ারচরে উৎপাদিত ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস সংগ্রহ করতে এখানে ছুটে আসছেন আনারসের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারদের হাত হয়েই এ আনারস ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।

নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষী মো: মামুন মিয়া বাসসকে জানান, পাহাড়ি এলাকায় কৃষকরা আগাম জাতের হানিকুইন আনারসের ফল তুলতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আমার বাগানে উৎপাদিত প্রতিটি আনারস পাইকারদের কাছে বাগানেই ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তিনি তার বাগান থেকে এবার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হানিকুইন আনারস বিক্রি করবেন বলে জানান।

কৃষকরা বলছেন, আনারসের মৌসুম শুরু না হলেও হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই পাহাড়ি টিলায় আনারস চাষ করছেন কৃষক। এতে মৌসুমে উৎপাদিত আনারসের চেয়ে আগাম হানিকুইন আনারস চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা।

নানিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ বাসসকে জানান, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারে মৌসুমের আগেই মিলছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। তিনি জানান, রাঙ্গামাটির অন্যান্য উপজেলার চেয়ে নানিয়ারচর উপজেলাতেই হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম চাষ হচ্ছে। হানিকুইন চাষ অধিক লাভবান হওয়াতে পাহাড়ের ঢালুতে এ আনারস চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদে বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ বছর নানিয়ারচরে ১ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ করা হয়েছে। আশাকরি কৃষকরা এবারও ভালো ফলন পাবে।

হানিকুইন জাতের এ আনারস উৎপাদনের জন্য কৃষকরা কৃষিবিভাগের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করছেন এক ধরনের হরমোন। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষীদের লোকসান গুনতে হতো, সেখানে মৌসুমের বাইরে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বরিশালে আইনকানুন কৌশল ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ
দু’দিন ও ৮৪৭ বলে শেষ হওয়া পিচকে ‘খুব ভাল’ রেটিং আইসিসির
ডেঙ্গুতে দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
লালমনিরহাটে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারে নতুন বিওপি ক্যাম্প
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় বৃদ্ধি
অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের স্বপ্ন দেখেন জহির
চুয়াডাঙ্গায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে বীজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
চার অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
খুলনায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
১০