/ ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন /
নাটোর, ২৪ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : জেলায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের হার শতভাগ ছাড়িয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে নাটোর জেলায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৮ কোটি ১৮ লাখ ১১ হাজার টাকা।
উল্লিখিত সময়ে দাবির পরিমাণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা হলেও ক্রমপুঞ্জীভূত বকেয়াসহ কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ শতকরা ১০৪ দশমিক ৮১ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সিংড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, নাটোর সদরে ১ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা, লালপুরে ১ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, গুরুদাসপুরে ১ কোটি চার লাখ ১৮ হাজার টাকা, নলডাঙ্গায় ৬৭ লাখ সাত হাজার টাকা এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৫৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
একই সময়ে অর্পিত সম্পত্তির লিজমানী আদায়ের হার ১০৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা দাবির বিপরীতে ক্রমপুঞ্জিভূত বকেয়াসহ আদায় হয়েছে ৮৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, এখন ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে জনদুর্ভোগ নেই। ডিসিআর, দাখিলা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপ্রতুলতা নেই। যে কোন ব্যক্তি খুব সহজেই ভূমি অনলাইনে কর দিতে পারছেন। তবে সার্ভারে গতি আসলে নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন হবে বহুগুণে।
নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফরহাদ হোসেন বাসসকে বলেন, সাধারণ ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের হার শতভাগ ছাড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে এখন আমরা অধিকতর সক্রিয় হয়েছি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে নাটোর পৌরসভা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত কর পরিশোধ করেছে। আশা করছি, আমাদের উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আরিফ হোসেন জানান, জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বাসসকে বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে গতিশীলতা এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে দাপ্তরিক দলগত প্রচেষ্টা চলমান রেখেছি। ভূমি সেবার অন্যান্য কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা এবং গতিশীলতা নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে আমার দপ্তরে ২২০টি আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যা বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের চেয়ে ৯৬টি বেশী। ভূমি সেবার যে কোন দপ্তরে সর্বোত্তম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।