বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৮

পলিথিন বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হবে : নাসির-উদ-দৌলা

আজ সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫ (বাসস) : পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পরিচালিত অভিযানকে আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসির-উদ-দৌলা।

তিনি আজ সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক এসাসিয়েশন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং রোল-ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স এন্ড ট্রেড এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান।

নাসির- উদ-দৌলা বলেন, ‘পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এজন্য জনগণের সচেতনতা এবং স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা দরকার।’

তিনি বলেন, পলিথিন শপিং ব্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পলিথিন বিরোধী এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

তিনি আরও বলেন,অভিযান জোরদার করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তারা সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালনে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সরকারের পলিথিন বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধ করতে পর্যায়ক্রমে সকল উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে সুপারশপ ও খোলা বাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, আগে আমরা দেখেছি, বাজারে যাওয়ার সময় কাপড়, পাট অথবা চটের তৈরি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া হতো। সেগুলো বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তৈরি করত। বাসা-বাড়ী থেকে ব্যাগ ছাড়া কাঁচাবাজারে যাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। বাসা থেকে বড় ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলে আর পলিথিনের প্রয়োজন হবে না।

তিনি আরও বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। কারণ সকলের সহযোগিতা আর সচেতনতাই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প তৈরির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প কোন সমস্যা নয়। বিকল্প তৈরি করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। শপিং ব্যাগ তৈরি করার মাধ্যমে ইতোমধ্যে পলিথিনের বিকল্প তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক দূষণের জন্য পরিবেশের যেন কোন ধরণের ক্ষতি না হয়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। সারবিশ্বের মত আমাদের দেশেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, কাঁচাবাজারে ব্যবহৃত পাতলা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন শপিং ব্যাগ টাকা দিয়ে কিনতে হয় না। তাই পলিথিনের বিকল্প বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাতলা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আমরা একমত হয়েছি। পলিথিনের সাইজ (আকার) নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যে কোন একটি সাইজ (আকার) নির্ধারণ করতে হবে। আর স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার বিষয়টিকেও বিবেচনায় নিতে হবে।

এর আগে নাসির-উদ-দৌলার সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশন,বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং রোল ম্যানু: ওনার্স এন্ড ট্রেড এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।