শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : উপকূলীয় সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক বন ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার ও জাইকা’র মধ্যে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষরিত হয়েছে।
‘প্রজেক্ট ফর এনহান্সিং কোস্টাল রেসিলিয়েন্স থ্রু টেকনোলজি-বেইজড ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এক প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাইকা’র বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ মিউরা মারি, ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব ড. এ. কে. এম. শাহাবুদ্দিন; বিএফডি’র প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী; এবং এমওইএফসিসি’র যুগ্মসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমওইএফসিসি) ও বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের (বিএফডি) সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
কারিগরি সহযোগিতামূলক এ চুক্তির অধীনে, জাইকা বিএফডি -কে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামগ্রিকভাবে বন ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
চার বছরব্যাপী (মে ২০২৫—এপ্রিল ২০২৯) এ প্রকল্প এবং প্রকল্পের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জাপানি বিশেষজ্ঞরা প্রধান কার্যালয় ও মাঠ পর্যায়ে হতে বিএফডি’র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কাজ করবেন।
কারিগরি সহযোগিতামূলক এ প্রকল্পের লক্ষ্য বন ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিভিত্তিক পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে বিএফডি’র বনভূমির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
আলোচনায় জানা যায়, ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ (আইপিসিসি) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলসমূহের একটি এবং এসব এলাকা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে, উপকূলীয় অবক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উপকূলীয় বনভূমি, ম্যানগ্রোভের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ ঝুঁকি প্রতিরোধে, বিএফডি উপকূলীয় বনায়ন সম্প্রসারণে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি এসব উদ্যোগের ভিত্তিতে অত্যাধুনিক বন পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি শনাক্তকরণ ও গ্রহণের মাধ্যমে কার্যকর পদ্ধতিতে উপকূলীয় অঞ্চলে বন সম্প্রসারণ নিশ্চিত করবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএফডি’র প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং দেশের মাত্র ১৪ শতাংশ এলাকা বন দ্বারা আচ্ছাদিত। বন সম্পদের পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। তাই, বিএফডি এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশে বনাঞ্চল খাতে জাইকার প্রথম সহযোগিতামূলক প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. এ. কে. এম. শাহাবুদ্দিন, এমওইএফসিসি’র যুগ্মসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা উপস্থিত ছিলেন।