শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস): সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ এই রিট করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী ।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে-কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে-কোন দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’
সংবিধানের এই বিধান প্রয়োগে নীতিমালা প্রণয়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ৭, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতেও রুল চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নীতিমালা না থাকার কারণে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতা অবাধ। কিসের ভিত্তিতে, কোন বিবেচনায় দণ্ডিতদের দণ্ড মওকুফ করা হচ্ছে বা হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা জানার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক সময় দণ্ডিতদের সাজা মওকুফ করতে দেখা গেছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহার।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পর বছর ধরে, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত আমলগুলোতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনেক সাজাপ্রাপ্ত খুনিকে ক্ষমা করা হয়েছে যা ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর ফলে, জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়, যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তরায়।