গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ : পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বাগেরহাট শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীর নামে দুদুকে মামলা   

বাসস
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:০২

বাগেরহাট, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাগেরহাটের রামপালে গ্রাহকের ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রামপাল শাখা ব্যবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)।

দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডল দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭,এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিন দুইজন স্বামী-স্ত্রী। তারা রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, আসাসিরা সদস্য বর্হিভূত ঋণ প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ, ঋণ প্রদানকালে সদস্যদের সম্পূর্ণ টাকা না দেওয়া, কিস্তি থেকে টাকা নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করে। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং তার স্বামী খান নুরুল আমীন মাঠ সহকারী হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রামপাল শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী খান নুরুল আমিন যোগসাজশে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ দেওয়া বা ঢেউ টিন দেওয়ার কথা বলে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে সমিতির সদস্য না এমন ব্যক্তিদের নামে ভুয়া দিয়ে ক টাকা হস্তমজুত করে।

তিনি জানান, হামিমা সুলতানা এককভাবে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করে। খান নুরুল আমিন মাঠ সহকারীর দায়িত্ব পালনকালে ঋণ বিতরণের সময় সদস্যকে স্বাক্ষর করিয়ে সদস্যকে আংশিক অর্থ দিয়ে বাকী টাকা  আত্মসাত করতেন। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন তিনি এবং তার স্বামী খান নুরুল আমিন এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

নুরুল আমিন মোট ২৩ টি সমিতি থেকে ও ৫ জনের সঞ্চয়ী হিসাবে গড়মিলসহ মোট ৩৯৪ জন সদস্যের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যের জমাকৃত সঞ্চয় থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ টাকা, ঋণের কিস্তি থেকে ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ২১৩ টাকা, ভুয়া ঋণ ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, ঋণ বিতরণকালীণ নিজের হাতে ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮০ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়া রামপাল উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন থেকে ভূয়া ঋণ দেখিয়ে মোট ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামী হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী আসামী খান নুরুল আমিন পরষ্পর যোগসাজশে মোট ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাত করে। তারা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং অধিকাংশ রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে ফেলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থার মধ্যে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণ
পটুয়াখালীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে পুলিশ সুপার
ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ : সাহস, প্রতিভা ও দায়িত্ববোধের অনন্য সাক্ষর
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সময়সীমা বাড়লো
চট্টগ্রাম জেলা আদালতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমেছে
নবমীতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রকাশ
অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক আইনের আওতায় আনা হবে : সেক্টর কমান্ডার সোহেল
জামায়াত আমিরের সঙ্গে সুইডেন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা
১০