রংপুর, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রংপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈষম্য আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর আরডিআরএস ভবনের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সদস্য (করনীতি) এ কে এম বদিউল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সদস্য (ভ্যাট নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ, ঠাকুরগাঁও চেম্বারের সভাপতি আলহাজ শরীফ হোসেন, গাইবান্ধা চেম্বারের পরিচালক আব্দুল লতীফ হক্কানী, লালমনিরহাট চেম্বারের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান বকুল, কুড়িগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ মিয়া, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক আলী আহমেদ চাঁন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওসার জামান বাবলা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. মামুন ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি মালিক সমিতির রংপুর বিভাগীয় সভাপতি মো. রিয়াজ শহিদ শোভন, বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন বিএসসি, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সোনাহাট স্থল এর আহ্বায়ক মো. ইফতেখারুল ইসলাম শ্যামা, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সালেকুজ্জামান সালেক, বেরোবি’র একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম বারী রাজ ও চেম্বারের সাধারণ সদস্য রশিদুস সুলতান বাবলু।
বক্তারা রংপুর চেম্বারের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আয়কর ও অন্যান্য কর সম্পর্কিত বিষয়ে যে সব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে তা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে আসন্ন বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এবারের বাজেটে জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটবে। রংপুর অঞ্চল খুবই সমৃদ্ধ। এখানে নূরুল দীন, বেগম রোকেয়া ও আবু সাঈদের মতো বীরের জন্ম। কোন অঞ্চলকেই বৈষম্যের বেড়াজালে পড়তে হবে না। সকল এলাকাকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। গত বছর অনলাইনে চার লাখ ট্যাক্স রিটার্ন ছিল। এবার সাড়ে ১৪ লাখ ট্যাক্স রিটার্ন অনলাইনে পেয়েছি। ভ্যাট কমানোর বিষয়টি কঠিন হলেও এ বিষয়ে কাজ করা হবে। ব্যবসায়ীদের সারচার্জ বিষয়েও এবার কাজ করা হচ্ছে। সেরা করদাতা ও কর বাহাদুরসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্মান জানানোর বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে অবহিত করা হবে। ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া আরো সহজীকরণ ও ট্যাক্স প্রদানের বিষয়টিতে আরো কাজ করা হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশন ফি বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এটি সহজীকরণ করা হবে।
রংপুরের উন্নয়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি চোখকে কাজে লাগাতে হবে। আয়কর ও ভ্যাট নেট আরো বাড়ানো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ড. আবু নূর রাশেদ আহম্মেদ, রংপুর কর অঞ্চলের বিদায়ী কর কমিশনার মো. আব্দুস সবুর খান এবং সদ্য যোগদানকৃত কর কমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম।
বিভিন্ন সরকারি অফিসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, কর ও ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর চেম্বারের কর্মকর্তা ও পরিচালকবৃন্দ, সাবেক সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দ, রংপুর বিভাগের সকল জেলা চেম্বারের নেতৃবৃন্দ, আমদানি-রপ্তানিকারকবৃন্দ, সিএন্ডএফ এজেন্টবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিবৃন্দ, সুধীজন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।